সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুপ্তে বলেন, ‘‘আকাসা-কে একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা যেতে পারে। ওরা মোট ৭২টি বিমান কিনেছে। তার বাইরেও চারটি অতিরিক্ত বিমানের বরাত দিয়েছে। বিমান চলাচলের ইতিহাসে আকাসা সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্টার্টআপগুলির মধ্যে একটি।’’
আরও পড়ুন- ৩৯ জন স্ত্রী, ৮৯ সন্তান! কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মিজোরামের জিওনা চানা, জেনে নিন সত্য
advertisement
সরাসরি এয়ার ইন্ডিয়া-র সঙ্গে তুলনা টেনে গুপ্তে জানান, ভারতের অন্যতম প্রাচীন বিমান পরিষেবা সংস্থা যখন ১৯০টা বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স, কুড়িটা ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, দশটা ৭৭৭এক্স-এর জন্য চুক্তি করছে, তখন আকাসা ৭২টা বিমানের বরাত দিয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না, আকাসা-র পরিষেবা শুরু হয়েছে মাত্র বছর খানেক আগে।
তাঁর দাবি, এমন অনেক উদাহরণই রয়েছে যা আগামী দিনে মধ্যম থেকে দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করবে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই দেশে প্রায় ২,৪০০ নতুন বিমান আসতে চলেছে বলেও তিনি জানান। তাই তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের আশাও।
আরও পড়ুন– ধন-সম্পদ থেকে সরকারি চাকরি, মঙ্গলের কৃপায় এবার এই ৩ রাশির ভাগ্য যাবে বদলে!
গুপ্তে বলেন, ‘‘এই ২,৪০০ বিমান ওড়াতে প্রায় ৩৭ হাজার পাইলট লাগবে। প্রায় একই রকম বা তার থেকেও বেশি মেকানিকের প্রয়োজন হবে বিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তাই এটা নিশ্চিত করাও জরুরি যে বিমানচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও যাতে ভারতেই করা যায়। সেই ইকোসিস্টেম রাখতে হবে।’’ সেই প্রসঙ্গে বোয়িং ইন্ডিয়া-র সভাপতি ভারতে পরিকাঠামো নির্মাণ ও পাইলট প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণাও করেছেন।
যদিও এখনও জ্বলজ্বল করছে গোফার্স্ট–এর দৃষ্টান্ত। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব দিয়েছেন গুপ্তে। মুখ থুবড়ে পড়ার পর জরুরি অনুমোদন নিয়ে ফের কবে আকাশে উড়বে গোফার্স্ট, সেই সংস্থাও লাভের মুখ দেখবে কি না, তা বলার মতো সময় এখনও আসেনি বলে দাবি করেছেন গুপ্তে। যদিও তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন এটুকুই সব নয়। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে ভারতে বিমান চলাচলে বৃদ্ধি আসবে। তবে বৃদ্ধি কখনই সরলরেখায় আসে না। ছোটখাটো উত্থান-পতন থাকতেই পারে। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে, ট্রেন্ড লাইন অপরিবর্তিত থাকে।’