এটি একটি সোনালি ফসলে পরিণত হয়েছে
দিলীপ সাদা ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি ১০ বছর আগে মাখানা চাষ শুরু করেছিলেন এবং আজ এটি তাঁর জন্য সোনালি ফসলে পরিণত হয়েছে। তিনি একা চার একর জমিতে মাখানা চাষ করেন এবং এখান থেকেই তাঁর জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে গিয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, আগে তিনি ধান ও গম চাষ করতেন, কিন্তু এটি খুব বেশি লাভজনক ছিল না। কিন্তু মাখানা চাষ শুরু করার পর থেকে তিনি ভাল আয় এবং প্রচুর লাভ অর্জন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার দাম বাড়বে, ডলার দুর্বল হবে, বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলছেন বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যে পড়তে পারে
দিলীপের সাফল্যের রহস্য কী
মাখানা চাষ সাধারণত একটি জটিল প্রক্রিয়া, যার মধ্যে জলের নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রম, বীজ বের করা এবং তার পর সেগুলিকে গুড়িতে পরিণত করা জড়িত। কিন্তু দিলীপ একটা চালাক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এত পরিশ্রম তিনি করেন না। তিনি পুকুর থেকে কাঁচা মাখানা (গুড়ি) তুলে সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এমনকি তাঁকে মাখনা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরিশ্রমও করতে হয় না। দিলীপ বলেন যে, ব্যবসায়ীরা এসে পুকুরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি কিনে ফেলেন।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসতে চলেছে পিএম কিষানের ২১তম কিস্তির টাকা, অবশ্যই সেরে রাখুন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি
কম খরচে বহুগুণ লাভ
দিলীপের মতে, এক বিঘা মাখানা চাষ করতে প্রায় ৫০,০০০ টাকা খরচ হয়। ৬ মাসের মধ্যে ফসল প্রস্তুত হয়ে যায়। তিনি প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ করেন। এভাবে তিনি চার বিঘা মাখানা থেকে বার্ষিক লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তিনি প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কেজি কাঁচা মাখানা সংগ্রহ করেন, যা তাঁকে এককালীন ভাল আয় দেয়। দিলীপ সাদার এই গল্পটি দেখায় যে সঠিক ফসল বেছে নেওয়ার এবং স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে কৃষকরা কোশির মতো বন্যাপ্রবণ অঞ্চলেও তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন। ঝুঁকি নিলে যে লাভও হয়, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন!
