পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস সল্টলেকে। শনিবার সেখান থেকেই বাণিজ্যিক মোটরবাইককে পৃথক লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে কসবাতে এই লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন: পুরী, তিরুপতি, আজমের আরও ‘কাছে’, বিরাট উপহার রেলের! পুণ্যার্থীদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর!
পরিবহণ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতায় প্রায় ১৫ হাজার বাইক চালক অ্যাপ নির্ভর সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যিক পরিবহণে যুক্ত। এ ছাড়াও আরও ১ লক্ষ ১০ হাজার বাইকচালক বিভিন্ন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সবাইকে এই বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিতে হবে।
advertisement
বাণিজ্যিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মোটরবাইক চালকদের আলাদা সিরিজের নম্বর দেওয়া হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু নবম লাগু হবে। নম্বর প্লেটের রং হবে হলুদ। ফলে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইকগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা সহজ হবে।
বাণিজ্যিক লাইসেন্স পেতে কত খরচ?
– আবেদনে খরচ পড়বে ১০০টাকা।
– আবেদনপত্র পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজের জন্য ৪০ টাকা।
– নথিভুক্ত করনে জন্য ৩৪০ টাকা
– সাধারণ বাইককে বাণিজ্যিক করার জন্য ১০৯০ টাকা
– নতুন নম্বর প্লেটের জন্য ৫০০ টাকা
– ৫ জেলায় পারমিটে জন্য ২০০০ টাকা
এ ছাড়া বাণিজ্যক গাড়িগুলিকে পৃথক বিমা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
মূলত যে দুটি কারণে এই ব্যবস্থা তার একটি হল, বাণিজ্যিক পরিষেবা দিতে গিয়ে নানা আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল বাইক চালকদের। তাছাড়া বাইক অরোহীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। এই সমস্যা কাটাতেই আলাদা করে বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকলে এই ধরনের সমস্যা মুখে পড়তে হবে না যাত্রীদের এমনটাই দাবি দফতরের।