সূত্রের মতে, চলতি বছরের বাজেটে স্টার্ট আপ ও উৎপাদন খাতের ওপর জোর দেওয়া হবে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই বাজেটে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপরও ফোকাস করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটে এই ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে শুরু বিধানসভা অধিবেশন, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাজেট পেশ করবেন চন্দ্রিমা!
advertisement
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ডব্লিউবিআইডিসি) এবং কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোক্তাদের উন্নীত করার জন্য এবং স্টার্ট আপগুলিকে লাইমলাইটে আনতে রাজ্য সরকার একাধিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় সরকারি সহায়তা পেতে ১০০-র বেশি স্টার্ট আপ রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। রাজ্য সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই কলকাতায় স্টেট স্টার্ট আপ রিসোর্স সেন্টার এবং বিভিন্ন জেলায় ২৩টি এক্সিলারেশন সেন্টার চালু করেছে। স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলোকে সবরকমের সহায়তা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য।
স্টার্ট আপ হাবের লক্ষ্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাক্সিলারেটরে অ্যাক্সেস প্রদান করা। পাশাপাশি পরামর্শদাতা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে একটি নেটওয়ার্কিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ন্যাসকম (পূর্ব)-এর চেয়ারম্যান সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। বাজেটে এই ইকোসিস্টেমকে আরও সংগঠিত করতে পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: রিজার্ভেশন হল কি না নিশ্চিত নয়? এই ৩ পদ্ধতিতে দেখে নিন পিএনআর স্টেটাস!
কয়েকদিন আগে সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘আমরা চাই রাজ্যে আরও বেশি ব্যবসার সুযোগ তৈরি হোক। এতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে’। স্টার্ট আপ নিয়েও নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা জানান চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের অনেক যুবক নতুন ব্যবসায়িক ইউনিট স্থাপনের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন। যা খুবই অনুপ্রেরণামূলক’। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়ছে। স্টার্ট আপ এবং ব্যবসা বাড়লে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করছেন’।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজ্যের গ্রামীণ এলাকা এবং কৃষকদের জন্যও কিছু বড় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।