সপ্তমবারের বাণিজ্য সম্মেলনের অনুষ্ঠানে প্রথম দিনেই হাজির হয়েছেন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি, আই টি সি চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রমুখ। আই টি সি চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরির কথায়, ‘গত কয়েকবছরে পশ্চিমবঙ্গের অনেক ট্রান্সমিশন হয়েছে। সবই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। ইকোনমিক করিডর আগামী দিনে রাজ্যে ভাল শিল্প আনবে বলে মনে করি। কোনও অসুবিধা হয়না এখানে শিল্পাঞ্চলে। আরও একটা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট খুব শীঘ্রই শুরু হবে আমাদের এখানে। আমরা আগামী দিনে আরও বিনিয়োগ করব। ইতিমধ্যেই আমাদের ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।’
advertisement
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসক দেবী শেঠির বড় ঘোষণা, ২ বছরের মধ্যে রাজ্যে নতুন হাসপাতাল
আর পি এস জি গ্রুপের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথায় আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা ওঠে আসে। তিনি বলেন, ‘বাংলা ব্যবসা ও বিনিয়োগ জন্য প্রস্তুত। আসুন বিনিয়োগ করুন। বিদ্যুৎ ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমরা কাজ করি। এখানে কোনও শ্রমিক ধর্মঘট হয় না। মুখ্যমন্ত্রী চায় ব্যবসা, আমরাও তাই চাই, এখন প্রক্রিয়া তে আছি একটা হসপিটাল করার জন্য।’
এছাড়াও, বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে হাজির ছিলেন সি আই আই ও টিভিএস গ্রুপের কর্তা আর দীনেশ। তাঁর কথায়, ‘বাংলা শুধু পূর্ব ভারতের গেটওয়ে নয়। পাশ্ববর্তী দেশগুলোর গেটওয়ে অবশ্যই। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই কাজে অগ্রসর হচ্ছে। টিভিএস গ্রুপ বাংলায় একাধিক কাজ করে। এখন যা কর্মসংস্থান হচ্ছে, তার তিনগুণ হবে এই রাজ্যে আগামী ৩ বছরে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উইপ্রোর বিজনেস এক্সিকিউটিভ রিশাদ প্রেমজি বলেন, ‘রাজারহাটে সেকেন্ড ক্যাম্পাসে ২০০ কোটির কাজ হচ্ছে আমাদের। আমরা পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। উচ্চমানের হাসপাতাল ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতেও প্রস্তুত। এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের জন্য।’
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ঢুকেই প্রথমে ফিকির আলোচনা সভায় যোগ দেন। তারপর সিআইআই এর ন্যাশনাল কাউন্সিল সভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য। মূলত এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কর্মসংস্থানকে বিশেষ পাখির চোখ করেছে রাজ্য। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরা হবে রাজ্যের পক্ষ থেকে।