বর্ধমান শহরের অধিকাংশ ফুলের দোকানেই অমিল ব্যাঙ্গালোর গোলাপ,জিপসি আর দেখা মিললেও তা কেনার সাধ্য হয়ে উঠছে না সকলের। কারণ ফুলের দাম বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ- তিনগুণ। এমনকি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র থেকেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ। ফুলের দাম শুনে শুধু যে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা তাই নয় লোকসানে পড়ছেন বিক্রেতারাও।
কত দূরত্ব বিমানে যাবেন? ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র! আপনার কত পড়বে দেখে নিন
advertisement
সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন কোনটা? ঘোষণা করে দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস! দেখুন আপনার সঙ্গে মেলে কিনা
একদিকে বাতিল একাধিক বিমান, তারপরে বিয়ের মরসুম,অর্ডার নেওয়া কাজগুলিতে লস করেই সাপ্লাই দিতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।ফুলব্যবসায়ী রাজীব খাঁ বলেন, ব্যাঙ্গালোর থেকে যে ফুলগুলি আসে সেগুলি ফ্লাইটের গন্ডগোলের জন্য দু-তিন দিন পরপর আসছে ফলে যোগান কমে যাচ্ছে, দাম বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। ৩২ বছরের ব্যবসায় এইরকম অবস্থা এই প্রথম। যে গোলাপ সিজেনে ৬০০-৭০০ টাকা বান্ডিল কিনি সেই গোলাপই কিনতে হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকায় আর সাদা গোলাপ তো ২০০০ টাকা বান্ডিল।
অপর এক ব্যবসায়ী নিতাই মাঝি বলেন, ব্যাঙ্গালোরের গোলাপ, জিপসির সাপ্লাই নেই।আমরা হাওড়া থেকে ফুল নিয়ে আসি,আগে যে ফুল ৫০০ টাকা লাগত এখন তা ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগছে।মাস খানেক আগে বৃষ্টির কারণে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে গেছে।যার কারনে লোকাল ফুলের দাম অনেকটাই বেড়েছে।ক্রেতা পরিতোষ মন্ডল জানান,অন্য সময় নর্মাল থাকলেও ফুলের দাম এখন অনেকটাই বেড়েছে। প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে,বিমান বাতিলের সমস্যা এবং বিয়ের মরসুমের দ্বিগুণ চাহিদা বর্ধমান শহরের ফুল ব্যবসায়ীদের বড়সড়ক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে। একদিকে ক্রেতাদের পকেট কাটছে লাগামহীন দাম, আর অন্যদিকে বিক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে যোগানের অভাব ও লোকসানের বোঝা। আগামিদিনে ফুলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের।