কিন্তু এ-ক্ষেত্রে সুবিধা ঠিক কী? প্রি-পেমেন্টের ক্ষেত্রে ঋণের মূলধন কমে যায়। সব মিলিয়ে উপকৃত হন গ্রাহকরাই। আসলে প্রি-পেমেন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহককে নিয়মিত ইএমআই-এর তুলনায় আলাদা ঋণ পরিশোধ করতে হয়। যে-সব গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত তহবিল রয়েছে, তাঁরা হামেশাই এই বিকল্পটি বেছে নিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রি-পেমেন্টের বিকল্প বেছে নেওয়ার আগেও গ্রাহকদের বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে, যাতে তাঁরা এই সুবিধার সর্বোচ্চ লাভ উপভোগ করতে পারেন। মানিকন্ট্রোলে প্রকাশিত এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অনুসারে কয়েকটি উপায়ের কথা আমরা আজ আলোচনা করে নেব।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এবার ওঁর ২ বছরের ছেলেকেও নোটিস দেবে', অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার বড় বার্তা
কমাতে হবে ইএমআই (EMI) কিংবা মেয়াদ:
গ্রাহক যখন প্রি-পেমেন্ট করেন, তখন তাঁর হাতে দু’টি বিকল্প থাকে। প্রথমটি হল- ইএমআই হ্রাস করা অথবা প্রতি মাসের খরচ কিছুটা হলেও কমিয়ে দেওয়া। আর দ্বিতীয় বিকল্পটি হল- ঋণের মেয়াদ কমিয়ে আনা। এতে ইএমআই একই থাকবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককে কম কিস্তি দিতে হবে, যার ফলে কমে যাবে মোট সুদের পরিমাণ। আর গ্রাহক কোন বিকল্পটি বেছে নিতে চাইছেন, তা সম্পূর্ণ রূপে গ্রাহকের পরিস্থিতির উপরেই নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: 'তোমাকে যদি আদালতে ল্যাজে গোবরে না করি আমার নাম অভিষেক না'
হোম লোন ব্যালেন্স ট্রান্সফার:
ধরা যাক, কোনও গ্রাহকের মনে হচ্ছে যে, তিনি যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন, তার তুলনায় অন্য কোনও ব্যাঙ্ক ভালো সুদের হার দিচ্ছে। তা-হলে সে-ক্ষেত্রে সেই গ্রাহক অন্য ব্যাঙ্কে লোন ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদের হার হ্রাস পেলে সামগ্রিক সুদও কমে যাবে এবং বর্তমান লিক্যুইডিটি ও বিনিয়োগে এর প্রভাবও পড়বে না। তাই লোন ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার আগে নতুন ব্যাঙ্কের প্রদান করা সুদের হার বিদ্যমান ব্যাঙ্কের তুলনায় ভালো কি না, সেটা দেখে নিতে হবে। তার পাশাপাশি, এটা সাশ্রয়ে কতটা সাহায্য করবে, সেটাও নিশ্চিত করে নিতে হবে।
ওভারড্রাফ্টের বিকল্প:
বহু ব্যাঙ্ক আবার গ্রাহকদের হোম লোনের ক্ষেত্রে ওভারড্রাফ্টের বিকল্পও দিয়ে থাকে। এর আওতায় ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহককে একটি অ্যাকাউন্ট দেয়, যেখানে তিনি তাঁর অতিরিক্ত পরিমাণ তহবিল জমা করতে পারেন এবং প্রয়োজনে সেখান থেকে অর্থ তুলতে পারেন।
জরুরি এবং জরুরি আর্থিক লক্ষ্যের জন্য সঞ্চিত সম্পদ কখনওই ব্যবহার করা উচিত নয়:
গ্রাহক যদি প্রি-পেমেন্ট করতে চান, তা-হলে এই বিষয়টা মাথায় রাখা দরকার যে, আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সঞ্চয় করে রাখা অর্থরাশিতে হাত দেওয়া উচিত নয়। এটা করলে ভবিষ্যতের বিপদ-আপদে কিন্তু গ্রাহককে উচ্চ সুদের হার-সহ ঋণ নিতে হবে। একই ভাবে, গ্রাহক যদি নিজের অর্থ একটি নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য রেখে দিয়ে থাকেন, তবে তা প্রি-পেমেন্টের কাজে ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ এতে দীর্ঘ মেয়াদে ওই গ্রাহকের আর্থিক অবস্থার অবনতিই ঘটাবে। এ-ছাড়া সেই লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে তাঁকে ব্যয়বহুল ঋণও নিতে হবে।