ক্রেডিট স্কোরে একজন ব্যক্তির ক্রেডিট ইতিহাস থাকে। ক্রেডিট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, মোট ঋণ, পরিশোধের ইতিহাস সব। ঋণদাতা ঋণ দেওয়ার আগে সেগুলো দেখে নেন।
ব্যাঙ্কগুলি ক্রেডিট স্কোরের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা মূল্যায়ন করে। সেই অনুযায়ী ঠিক হয় সেই ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া হবে কিনা। বেসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও দীপিকা জয়কিশানের মতে, সিবিআইএল স্কোর হল একজন ব্যক্তির আর্থিক রিপোর্ট কার্ডের মতো। এই স্কোর ৩০০ থেকে ৯০০ এর মধ্যে। যখন কেউ ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে তখন এই স্কোরের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ক্রেডিট স্কোর ভালো করার কিছু পদ্ধতি আছে।
advertisement
ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত: এটা ক্রেডিট কার্ডের মোট খরচের সীমার অনুপাত। যদি এক মাসে ক্রেডিট কার্ডের সীমার ৩০ শতাংশের বেশি ব্যবহার হয় তাহলে সেটা ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রেডিট স্কোর ভাল রাখতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমানো উচিত।
পুরো ঋণ শোধ: যদি কেউ ক্রেডিট কার্ডের বিল বা ঋণের ইএমআই পুরো শোধ না করেন, তাহলে ঋণ বাড়তে থাকে। এর ফলে ঋণের আয়ের অনুপাত বেড়ে যায় এবং ক্রেডিট স্কোর খারাপ হতে থাকে। তাই সময় মতো পুরো ঋণ শোধ করে দেওয়া উচিত।
টাকা শোধে দেরি নয়: ঋণ পরিশোধে দেরি হলে বা এড়িয়ে গেলে ক্রেডিট স্কোরে তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টাকা জমা দিতে দেরি হলে বা ভুলে গেলে অবিলম্বে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলা উচিত। এবং চেষ্টা করতে হয় যাতে জরিমানা ছাড়াই পেমেন্ট মিটিয়ে দেওয়া যায়।
ক্রেডিট রিপোর্টে ভুল তথ্য: কখনও কখনও ভুল বা দেরির ফলে ক্রেডিট রিপোর্টে ভুল তথ্য থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ক্রেডিট রিপোর্ট চেক করা উচিত এবং যদি কিছু ভুল হয়ে যায়, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশোধন করা জরুরি।