গত ১ ও ২ জুন এই নিলাম ডাকা হয়েছিল। স্যাফরনআর্টের CEO এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীনেশ ওয়াজিরানি (Dinesh Vazirani) বলেন, ‘আমরা অভিভূত। নিলামে ওঠা ২৭টি পণ্যের সব ক’টিই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সারা বিশ্ব থেকেই মানুষ এই নিলামে যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেই প্রি-অকশন এস্টিমেটের কয়েকগুণ বেশি দরে কিনেছেন তাঁরা।’
কী কী ছিল ওই নিলামে?
advertisement
সে পণ্যের তালিকায় যেমন রয়েছে দামী চিত্রকলা, তেমনই রয়েছে বিলাসবহুল হাত ঘড়ি, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগও।
সর্বোচ্চ দর উঠেছে একটি হাতঘড়ির। প্যাটেক ফিলিপ নটিলাস (Patek Phillipe Nautilus)-এর সোনা ও হিরে বাঁধানো ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে ৯০,৪৯,৬০০ টাকায়। এর পরের দর উঠেছে আরও একটি ঘড়ির। সেটি Jaeger LeCoultre-এর একটি লিমিটেড এডিশন ঘড়ি। দর উঠেছে ৮৯,৪৯,৫১৭ টাকা। এদের প্রি-অকশন এস্টিমেট রাখা হয়েছিল ৫৫,০০,০০০ থেকে ৭০,০০,০০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বন্ধুরা মজা করে বলত শিক্ষামন্ত্রী, মাধ্যমিকে অষ্টম বাঁকুড়ার ব্রাত্য বসু
ডেসমন্ড লাজারোর (Desmond Lazaro) আঁকা একটি ছবি বিক্রি হয়েছে ২২,৩৮,৬৫৬ টাকায়। এটি এস্টিমেটের প্রায় তিনগুণ দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিলামে উঠেছিল Hermes, Chanel, Luis Vuitton, Bottega Veneta, Goyard-এর মতো সংস্থার তৈরি হাতব্যাগ।
এর মধ্যে পালাডিয়াম (Palladium) হার্ডওয়্যার-সহ Hermes Kelly-র একটি ব্যাগ এবং একটি স্কার্ফের দর উঠেছে ১২,৯১,৩৬০ টাকা। ব্যাগের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ। সোনার হার্ডওয়্যার Hermes Brikin এর একটি চামড়ার ব্যাগের দর উঠেছে ১১,০৯,৯২০ টাকা। এর বাইরে ভাস্কর বি বিঠল (B Vithal)-এর তৈরি একটি ব্রোঞ্জের গণেশ মূর্তির দর উঠেছে ৬,৫৮,৫৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: আজ ফের কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, কবে বাংলায় ঢুকছে বর্ষা? জানুন...
ওয়াজিরানির দাবি, গত দু’বছরের খরা কাটিয়ে এমন একটা নিলামের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, Chanel-এর একটি ফ্ল্যাপ ব্যাগের দর ২০১৯-এর তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। সারা বিশ্বে এ ধরনের হস্তশিল্পের কদর আবার বাড়ছে।