সেটা যে নয়, তা আমরা সবাই অল্প-বিস্তর জানি। সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের থেকে এই সুবিধাগুলো নিচ্ছেন? না কি কেবলই টাকা জমিয়ে অল্প সুদেই খুশি একটা কাজের জিনিস তো বটেই, থাকাটা এক রকমের বাধ্যতামূলক। কিন্তু যেটা আমরা অনেকেই খুব কম জানি, তা হল ওই সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই কায়দা করে আর্থিক ফায়দা তোলা যায়। কী ভাবে, সেটা এবার দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতে আসছে সবচেয়ে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ি! দেখে নিন কত দাম রাখা হয়েছে
১. মাসের গড় ব্যালেন্স
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পয়সা তোলা হবেই, এখানে কিছু করার নেই। কাজেই বেশি সঞ্চয় অনুপাতে সুদ বেশি- এই নিয়ম এখানে কাজে লাগবে না। মানে, যদি অ্যাকাউন্টে ১০০ টাকা থাকে ধরে নেওয়া যায়, তাহলে তার সুদ তো ২০০ টাকার চেয়ে কম হবে। তার ওপরে আবার অনেক ব্যাঙ্কে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার ব্যাপারটাও আছে। তাই বুদ্ধি করে এমন একটা অঙ্কের টাকা সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে গড় হিসেবে রাখতে হবে, যাতে সুদ প্রতি মাসে হের-ফের না হয়, বাড়লে ভাল, কম হওয়াটা কোনও ভাবেই চলবে না। তবে হ্যাঁ, এমন কোনও মানে নেই যে ন্যূনতম ব্যালেন্স মাসের প্রতি দিনই বজায় রাখতে হবে। ওটা মাসের শেষে দেখাতে পারলেই হল।
আরও পড়ুন: বিপুল দাম কমল! ৫০ হাজার টাকার নীচে নেমে গেল সোনার দাম
২. নির্দিষ্ট সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিন্তু নানা রকমের হয়। যেমন, কিডস সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Kids Savings Accounts), সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Senior Citizen Savings Accounts), ইয়ুথ সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Youth Savings Accounts) ইত্যাদি। ধরনের ওপরে নির্ভর করে একেকটার সুদের হার একেক রকমের হয়ে থাকে। তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যাতে সুদ বেশি, সেরকম ভাবেই সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত।
৩. সেভিংস থেকেই ফিক্সড ডিপোজিট
এই সুবিধেকে বলা হয়ে থাকে সুইপ ইন (Sweep In)। কিছু ব্যাঙ্ক তাদের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই সুবিধে গ্রাহককে দেয়। ব্যাপারটা কীরকম? না, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্কের বাইরে যে টাকাটা পড়ে থাকছে, তা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) হিসেবে আপনা-আপনি ট্রান্সফার হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুদ তো মিলছেই, অতিরিক্ত অঙ্ক থেকে মিলছে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদও, যার হার হালে বেশ চড়াই যাচ্ছে বেশিরভাগ ব্যাঙ্কে।