এতদিনের তীব্র রোদের তাপে আলিপুরদুয়ারজুড়ে কালো নুনিয়া ধানের চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বৃষ্টির অভাবে জমিতেই শুকিয়ে যায় ধানের চারা। মাথায় হাত পড়ে কৃষকদের। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই মুখে হাসি কৃষকদের। গত কয়েক বছরে আলিপুরদুয়ারজুড়ে বেড়েছে ‘জি আই’ ট্যাগ পাওয়া এই কালো নুনিয়া ধানের চাষ। অন্যান্য ধানের তুলনায় বিঘা প্রতি উৎপাদন কম হলেও, আয় অনেকটাই বেশি।ফলে অন্যান্য ধানের তুলনায় জেলাজুড়ে বাড়ছে কালো নুনিয়া ধানের চাষ। কৃষকদের এই চাষে উৎসাহিত করতে কৃষি দফতরের তরফে কৃষিপ্রবন এলাকায় দেওয়া হয়েছে এই ধানের চারাও। তবে লাগাতার তীব্র রোদে চির ধরতে শুরু করে চাষের জমিতে, শুকিয়ে যায় জমিতে থাকা কালো নুনিয়া ধানের চারা। শীঘ্র বৃষ্টি না হলে এই ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন কৃষকেরা।
advertisement
কৃষকদের কথায়, স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় এই কালো নুনিয়া ধানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যেখানে অন্যান্য ধানের উৎপাদন এক বিঘায় ১০ থেকে ১২ মন, সেখানে এক বিঘায় কালো নুনিয়ার উৎপাদন ৬ মন। অন্যান্য ধান যেখানে এক মন বিক্রি হয় ৬০০ টাকা দরে, সেখানে কালো নুনিয়ার এক মনের দাম ২০০০ টাকা। ফলে অনেকটাই লাভজনক। ঘনশ্যাম ছেত্রী নামের এক কৃষক জানান, ” যে সময় বৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে সময় বৃষ্টি হল না। ফলে ধান চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
Annanya Dey