ভারতের আইটি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বেশি ব্যবসা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে হয়ে থাকে। টিসিএস এবং ইনফোসিস কোম্পানির আয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপীয় বাজার থেকে আসে।
আরও পড়ুনঃ কন্যা সন্তানদের জন্য এই ১০ বিনিয়োগ পরিকল্পনা রাখুন, যা দেবে আজীবনের সুরক্ষা
আইটি বাজেট কম করল একাধিক কোম্পানি
advertisement
মূল্যবৃদ্ধির বাজার এবং সুদের হারের বৃদ্ধির কারণে মার্কিন অর্থব্যবস্থায় বড় রকমের ধাক্কা লেগেছে। মন্দার আশঙ্কায় অনেক কোম্পানি তাদের আইটি বাজেট কমাতে শুরু করেছে। টেক কোম্পানিগুলির প্রোডাক্ট ও সার্ভিসেস-এ এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলির অর্ডার ফ্লো, ব্যবসার বিজনেস গ্রোথ এবং রেভেনিউর উপর প্রভাব পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানির শেয়ারের দামও কমতে পারে।
২০২২ সালে আইটি সূচকে পতন
২০২২ সালে আইটি সূচক এখন পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে আমেরিকা এবং ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলির রেভেনিউও সংকটের মুখে। গত ৬ মাসে আইটি স্টকগুলিতে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মার্চ মাস পর্যন্ত আইটি স্টকে মিউচুয়াল ফান্ডের ইক্যুইটি এইউএম ছিল ১৩ শতাংশ ছিল। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তা কমে ৬.১৭ শতাংশে নেমে যায়।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও ত্রৈমাসিকে যদি ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলির অর্ডার বুকিং কমে যায় তবে তাদের ভ্যালুয়েশনে সংশোধন দেখা যেতে পারে।