TRENDING:

West Midnapore News: ধানে মন নেই, এই বীজ দিয়ে চাষ শুরু ভাস্করের, রাতারাতি মালামাল! আপনিও করবেন নাকি?

Last Updated:

West Midnapore News: ঝিঙ্গা চাষ করে বিপুল লাভ চাষির, জানুন ভাস্করের জীবনের গল্প। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নারায়ণগড়: ধান চাষে তেমন লাভ পাচ্ছিলেন না। তাই আনাজ চাষে ঝুঁকেছেন অনেক চাষি। আর এই চাষ করে মিলছে বাড়তি লাভ। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বহু চাষি আনাজ চাষে ঝুঁকেছেন। তাঁরা কৃষি দফতরের সহযোগিতা চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য, মার্কেটিং-এর একটু সমস্যা আছে। ওটা মিটলেই আনাজ চাষে আরও উৎসাহ পাবেন তাঁরা। বিকল্প চাষে আয়ও বাড়বে।
advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র পঞ্চায়েতের কুলাসেনি এলাকার চাষি ভাস্কর মাইতি ঝিঙা চাষ করছেন। তিন বছর ধরে এই চাষ করে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, "ধান চাষ করে তেমন লাভ পেলাম না। আনাজ চাষ করে কিছুটা লাভ পাচ্ছি। তবে পরিবারের সবাইকে পরিশ্রম করতে হচ্ছে।" তিনি জানাচ্ছেন, তিনি ৭৫ ডেসিমেল জমিতে এই চাষ করেছেন। পৌষ সংক্রান্তির সময় বীজ পুঁততে হয়। জমিতে ২২০০ মাদা আছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে বীজ কেনেন। এক কেজি বীজের দাম চোদ্দ হাজার টাকা। জমি লাঙল করার পর সার প্রয়োগ করে মাদা করে বীজ পুঁততে হয়। বীজ পোঁতার একসপ্তাহের মধ্যে গাছ বেরোয়। বীজ লাগানোর পঁয়তাল্লিশ দিনের মাথায় ঝিঙা তুলতে পারেন চাষি। দিতে হয় অনুখাদ্য, ১০:২৬ ও অন্যান্য সার।

advertisement

আরও পড়ুন: শুষনি শাক, নাম শুনেছেন? শাক দিয়ে কী কাণ্ডটাই না ঘটালেন পিংলার যুবক! তাকিয়ে গোটা দেশ

পরিবারের স্ত্রী ও ছেলে চাষের কাজে সহযোগিতা করেন ভাস্করকে। ছেলে প্রসূন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাবার সঙ্গে চাষের কাজ করেন। তিনি বলেন," বাবার সঙ্গেই কাজ করি। পরিশ্রম করতে পারলেই ফল পাওয়া যাচ্ছে।" একটানা দেড়-দুমাস ফলন দেয় গাছ। নিজেরাই গাছ থেকে ফলন তোলার কাজ চালান প্রতিদিন। যদিও পুরো জমি থেকে প্রতিদিন ফলন তুলতে পারেন না।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের থোড় এই ভয়ানক রোগ থেকে রেহাই দেবেই! জানতেন?

তাঁর বক্তব্য, প্রতিদিন যে ফলন উঠবে তা বাজারজাত করার সমস্যা। তাই অর্ধেক জমি থেকে ফলন তুলতে হয়। প্রতিদিন ফলন উঠবে চার-পাঁচ ক্যুইন্টাল। তবে দু-আড়াই কুইন্টাল ফলন তোলা হয়। এতে পরিশ্রম কম, বাজারজাত করতেও সুবিধা। এবছর প্রতি কুইন্টাল পাইকারি হিসেবে বেচেছেন ২৫০০ টাকায়। কেজি কুড়ি-পঁচিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কখনও দাম ওঠা-পড়া করে। চাষির বক্তব্য, ধান চাষের থেকে লাভ বেশি। তবে শ্রমিক না লাগিয়ে নিজেরা পরিশ্রম করতে পারলে লাভের অঙ্ক বাড়বে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু সূর্যাস্ত দেখতে, বাংলার এই 'অনামী' স্পট এখন 'হটফেভারিট'!
আরও দেখুন

Ranjan Chanda

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/কৃষি/
West Midnapore News: ধানে মন নেই, এই বীজ দিয়ে চাষ শুরু ভাস্করের, রাতারাতি মালামাল! আপনিও করবেন নাকি?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল