নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. নূতন ভার্মা বলেন, শসা তৈরিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কীটনাশক ব্যবহার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শসা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্ষতিকারক কীটনাশক আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই বাজার থেকে শসা কিনে খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে কীটনাশকের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না
শসা অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে উঠছে
ড. নূতন ভার্মা জানান, শসায় কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতি ১ লিটার জলে ১৭.৮ মিলি ইমিডাক্লোপ্রিড মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে শসা ৫% থেকে ১০% ফুলে উঠলেই এই স্প্রে করা উচিত। এই সময়ে স্প্রে করা হলে শসার ফসলের ক্ষতি হবে না। শসা ফসলের মুকুল হওয়ার সময় কোনও কীটনাশক ব্যবহার করা ঠিক নয়। কীটনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।
৫ দিন ধরে ফসল কাটা যাবে না
ড. নুতন ভার্মা বলেন, যদি মুকুলের সময় শসার ফসলে কীটপতঙ্গের আক্রমণ হয়, তাহলে কৃষকরা থিওমেথক্সাম ব্যবহার করবেন। যার প্রভাব ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ফসলে থাকে। ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করলে ৫ দিনের জন্য ফসল প্রভাবিত হয়। এমতাবস্থায় মনে রাখতে হবে যদি এই ওষুধগুলো ফসলে স্প্রে করা হয়ে থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি শসা কাটা উচিত নয়।
নিমের পণ্য ব্যবহার
ড. নূতন ভার্মা বলেন, যদি পাতায় পোকা থাকে তাহলে নিম থেকে তৈরি পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
শসা খাওয়ার আগে এটি করা উচিত
শসা পরিষ্কার করতে, জলে নুন যোগ করে ১০ মিনিটের জন্য শসা ডুবিয়ে রাখতে হবে। অথবা ১ লিটার জলে দুই ক্যাপ ভিনিগার মিশিয়ে তাতে শসা ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর জল দিয়ে দুই থেকে তিনবার ধুয়ে শসা খাওয়া যেতে পারে।