কিন্তু কখন, কীভাবে করা যাবে পালং শাকের চাষ! বিস্তারিত জানাচ্ছেন কৃষি গবেষক রামেশ্বর চন্দক।
বাঙালি শুধু শীতকালে পালং শাক খেতে পছন্দ করে। কিন্তু সারা দেশের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পালং শাক একটি প্রধান সবজি। নানা রকমের পদ রান্না হয় এই শাক দিয়ে। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এটি খুব উপকারি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ! কলকাতা তোলপাড় হবে বৃষ্টিতে, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা! আবহাওয়ার জরুরি খবর
advertisement
চাহিদা থাকায় ভাল দামও পান চাষিরা। শুধু তাই নয়, পালং শাক চাষে খরচ কম এবং ফলনও ভাল। তবে চাষ করার আগে ভাল ভাবে ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মহারাষ্ট্রের মতো আবহাওয়ায় প্রায় সারা বছরই পালং শাক চাষ করা যায়। খরিফ মরশুমে জুন-জুলাই মাসে এবং রবি মরশুমে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ রোপণ করা হয়। ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে বীজ বপন করতে হয়। খুব অল্প সময়ে ফলন হয় বলে মাটির বেধ অনুযায়ী উপযুক্ত আকারের সমতল ‘বেড’ তৈরি করে বীজ বপন করতে হবে এবং তারপর বীজ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে হালকা জল দিতে হবে।
যদি কেউ এক হেক্টর জমিতে পালং শাক চাষ করতে চান তাহলে ৩০-৩২ কেজি বীজের প্রয়োজন হবে। এই পরিমাণ বীজ থেকে তিনি ১৫০-২০০ কুইন্টাল ফসল পেতে পারেন। সারিতে বীজ বপন করার সময় দু’টি সারির মধ্যে ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখা প্রয়োজন। কৃষি বিশেষজ্ঞ চন্দক বলেন, খুব ঘন করে চারা রোপণ করলে ফসলের বৃদ্ধি দুর্বল হতে পারে। এতে পাতার আকার ছোট থেকে যাবে। ফসলের মান পড়ে যাবে।
ফলন এবং ফসলের গুণমান নির্ভর করে সারের পরিমাণের উপর। এই কারণে পালং শাকে বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন ব্যবহার করতে হয়। মাটিতে আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত জল দিতে হবে। প্রতি হেক্টরে পালং শাকের জন্য ২০ গাড়ি গোবর সার, ১৫০ কেজি নাইট্রোজেন, ৮০ কেজি ফসফরাস, ৮০ কেজি পটাশ দিতে হবে।