শিলিগুড়ির উৎপল ব্যানার্জি ২০১২ সালে পলি হাউস তৈরি করে সেখানে চাষ শুরু করেন অর্কিডের। অর্কিড মূলত পাহাড়ি ফুল তবে তরাই অঞ্চলে এই চাষ কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়ে সন্দেহ ছিল প্রথম থেকেই। কিন্তু উৎপল বাবু নিজের এই পলি হাউসে ২৬,০০০ প্রজাতির ট্রপিক্যাল অর্কিড ফুটিয়েছেন। উৎপল বাবুর পলি হাউস থেকে অর্কিড নানান জায়গায় পাঠানো হয়েছে। বিশেষত নাগাল্যান্ডে এই অর্কিডের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাই, কোন ফুলই তার পলি হাউসে নষ্ট হয়না। বিপুল লাভ হয় এই অর্কিড চাষ করে, জানালেন উৎপল ব্যানার্জি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'দিনে তিনটি হাতির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার ! কেন প্রাণ গেল হাতির? উঠছে প্রশ্ন
উৎপল বাবু জানান, "ট্রপিকাল অর্কিড ফুল বিজনেসে নতুন একটা ডাইমেনশন এনে দিয়েছে। স্পেশ্যালি কার্ড ফ্লাওয়ার হিসেবে এই অর্কিড বিক্রি করা হয়।" এখন থিম ওয়েডিং-এর জমানা। ফলে মানুষের পছন্দ হিসেবে সেই রং-এর অর্কিড পাঠানো হয় উৎপল বাবুর পলি হাউজ থেকে। হ্যাঁ, এই ধরণের অর্কিড একটু এক্সপেনসিভ। এক একটি অর্কিড বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। নাগাল্যান্ডে অর্কিডের চাহিদা নাকি খুব ভাল। আর সেই কারণে বেশিরভাগ অর্কিড পাঠানো হয় নাগাল্যান্ডে।
আরও পড়ুনঃ গোটা পরিবার অসুস্থ, চার সদস্যই শয্যাশায়ী! শিলিগুড়ির সূত্রধর পরিবারের একমাত্র সম্বল সাহায্যের হাত
ট্রপিকাল অর্কিড তরাই অঞ্চলে সাফল্যের সঙ্গে চাষ করতে দেখে অবাক হয়েছেন হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। যে কারণে তাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে শিলিগুড়িতে একটি ট্রপিকাল অর্কিড সেন্টার তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ছোট ছোট চাষিদের এই অর্কিড চাষ ভালো করে বোঝানো হবে। এটা চাষিদের জন্য দারুণ লাভদায়ক ব্যবসা হয়ে ওঠতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ছোট ছোট কৃষকরাও তাঁদের আয়ের নতুন পথ খুঁজে পাবে।
অনির্বাণ রায়