কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকার গদাধর নদীর সেতু সংলগ্ন এলাকায় হ্যাচারির ব্যবসায়ী সমীর কুমার দত্ত। পেশাগত ভাবে হ্যাচারি ব্যবসায়ী হলেও গাছের প্রতি তাঁর দারুন ঝোঁক। সমীর কুমার দত্ত জানান, “দীর্ঘ প্রায় ৮-১০ বছর আগে এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এই ফল খেয়েছিলেন। তখন থেকেই তাঁর মনে গেঁথে রয়েছে এই ফল। তারপর তিনি শিলিগুড়ি থেকে এই ফলের গাছের চারা কিনে এনে লাগান তাঁর বাগানে। সেই গাছেই এই ফল ধরেছে।”
advertisement
তবে ওই গাছ ছাড়াও আরও মোট ৯টি গাছ বাড়ির বাগানে। এখনও অবশ্য সেসব গাছে ফল ধরেনি। তবে আগামী বছর থেকে সেই গাছগুলিতেও ফল ধরার সম্ভাবনা। এই ফল খেতে খুব সুস্বাদু। পুষ্টিগুণও অনেক। তাই এই ফল বেশ চড়া দামেই বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়। তাই এই ফল বিক্রি করে বেশ অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি।”
আরও পড়ুনঃ রাস্তার পাশের গাছই আতঙ্ক! কেন এমন ঘটনা ঘটছে? ঘুম উড়েছে হাওড়ার
সমীর কুমার দত্ত আরও জানান, “এই গাছটি অনেকটাই লিচু গাছের মতো দেখতে। গাছ লাগানোর আগে ভাল করে গোবর সার দিয়ে গাছ লাগিয়ে দিতে হয়। গাছ বেশ কিছুটা বড় হয়ে গেলেই ফল ধরতে শুরু করে গাছের মধ্যে। এই ফলের বাইরের অংশ দেখতে অনেকটাই কাঁকরোলের মতো। তবে ভেতরের অংশ আবার লিচুর মতো। তবে সেই বীজ আবার হয় কাঠ বাদামের মতন দেখতে। কিন্তু এই ফল লিচুর থেকেও মিষ্টি। এ ছাড়াও ফল খাওয়ার অংশটা লিচুর থেকেও বেশ অনেকটাই বেশি থাকে। তবে এই ফল কোচবিহারের মধ্যে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এই ফলের চাষও কোচবিহারের মধ্যে কোথাও হয় না সম্ভবত।”
Sarthak Pandit