কৃষকরা বলছেন, জেলায় সাধারণ ধান চাষের দিকেই কৃষকরা এতদিন মনোযোগ দিয়ে এসেছেন। কিন্তু সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে লাভের পরিমাণ কমেছে। অথচ সুগন্ধি চালের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দামও পাওয়া যায় ভাল। সেজন্য এখন অনেক কৃষক এই সুগন্ধি ধান চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। সাধারণ ধান চাষের মত প্রায় একই পদ্ধতি সুগন্ধি ধান চাষেরও। কিন্তু কীটনাশকের খরচ এখানে বেশি।
advertisement
চলতি বছরে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ করেছেন শেখ স্বপন। তিনি প্রায় ৪৫ বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ ধান চাষের মত পদ্ধতি হলেও এখানে ফসলের উপর নজরদারি বেশি চালাতে হয়। রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে। তাছাড়াও যে কীটনাশকগুলি ব্যবহার করা হয়, তার দাম অনেক বেশি। কিন্তু ফলন ভাল হলে পরিশ্রম এবং খরচ দু’দিক থেকেই লাভবান হন তারা।
আরও পড়ুন: ডিপ ফ্রিজে জমে বরফের পাহাড়! বারবার কেন হয় এই সমস্যা? ৫ মিনিটে গলবে কীভাবে? জেনে নিন সহজ টোটকা
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই জেলার কৃষকদের অন্যরকম কৃষি কাজের দিকে মনোযোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। কেউ আলু চাষের সময় সূর্যমুখী বা বিভিন্ন মরশুমী সবজি চাষ করছেন। তা বাজারজাত করে ভাল লাভের মুখ দেখছেন। আবার অন্যরকম ধান চাষের দিকেও তারা ব্যাপকভাবে আগ্রহী। সবমিলিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকাগুলির কৃষকদের বিকল্প চাষের মাধ্যমে বেশি লাভ খুঁজে নিতে ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।
নয়ন ঘোষ