ধৈঞ্চা বা ধনচে এর বৈজ্ঞানিক নাম সেসবানিয়া বিস্পিনসা।কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায় এটি সেসবানিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত ছোট বৃক্ষ।এটি এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকায় খুব সহজেই আগাছা বিনাশকারী এই উদ্ভিদটি দেখা যায়। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে আমেরিকা মহাদেশেও রোপন শুরু হয়েছে। ধইঞ্চা গাছ সিক্ত ও ভারী মাটিতে অভিযোজিত উদ্ভিদ কিন্তু খরা-প্রবণ বা বালুময় এলাকায়ও সহজেই অভিযোজিত হয়।
advertisement
এটি বিস্তরভাবে ভারত, বাংলাদেশে চাষ করা হয়। ভিয়েতনামে প্রথম ধানখেতে এটি চাষ করা হয়। এটি চাষের ফলে জমিতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেনের বৃ্দ্ধি ঘটে। পরবর্তীতে জ্বালানি কাঠ হিসেবে এটিকে ব্যবহার করে অনেকেই। পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার আওতায় জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষি দফতরের উদ্যোগে গ্রিন ম্যানুরিং অর্থাৎ সবুজ সার হিসেবে এই ধনচে চাষকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এতে করে কৃষকদের আলাদা করে নাইট্রোজেন সার জমিতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ভুলে যান সোনা, বিনিয়োগ করুন রুপোয় ! এই ধাতুই এখন দেবে দ্বিগুণ রিটার্ন
কুমারগ্রাম ব্লক কৃষি অধিকর্তা রাজীব পোদ্দার জানান, ” গ্রিন ম্যানুরিং অর্থাৎ সবুজ সার হিসেবে ধনচে চাষকে আমরা বেছে নিয়েছি। কৃষকদের সরাসরি চাষের জমিতে এনে ধনচের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। কুমারগ্রাম ব্লকে ১০০০ হেক্টর জমিতে ধনচে চাষ করানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য, ২০২৬ সালে সোনার দাম কত হতে পারে ? জানলে চমকে যাবেন
সহজেই জমিতে ধনচে চাষের ফলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ঘটছে। কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম নারারথলি এলাকার কৃষক বিমল কুমার রায় ও খগেন্দ্র নাথ রায়ের জমিতে এই ধনচে চাষ সরাসরি দেখানোর জন্য বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে।
Annanya Dey