আরও পড়ুন: বন্যার হাত থেকে বাঁচতে আগেভাগেই শুরু হবে কাজ
বাদাম, সূর্যমুখী ফুল, ধানের তুষ, সয়াবিন, নানারকম ফল, ফুল থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদিত হলেও বিভিন্ন তৈলবীজের মধ্যে সর্ষেই এখানে প্রধানতম। পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার জনপ্রিয় শীতকালীন ফসল হল সর্ষে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই শীতের শুরুতে মাঠ ঢেকে যায় হলুদ সর্ষে ফুলে। অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রম ও খরচে দ্রুত পাওয়া যায় ফসল। তাই রাজ্যে প্রতি বছরই বাড়ছে সর্ষে চাষ। নিয়ম মেনে চাষ করলে পাওয়া যেতে পারে কিছু বাড়তি ফলন। সঙ্গে রোগ, পোকার আক্রমণের উপসর্গ ও প্রতিকার জানা থাকলে আরও সহজে সাফল্য মিলবে সর্ষে চাষে।
advertisement
রাজ্যে টোরি, শ্বেত এবং রাই এই তিন ধরনের সর্ষে বহুল পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এই চাষে সম্প্রতি গোড়া পচে যাওয়া, বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। সেই সমস্যা সমাধানে শান্তিপুর নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালমাট এলাকায় শতাধিক সর্ষে চাষিদের নিয়ে বিশেষ এক আলোচনা সভা আয়োজন করে শান্তিপুর ব্লকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ এগ্রিকালচার সুসময় কুন্ডু। নদিয়া জেলার অন্যতম উদ্ভিদ রোগ তত্ত্ববিদ ডক্টর কুণাল মিত্র এদিন কৃষকদের নানান সমস্যার কথা শুনে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ডক্টর মিত্র বলেন, আগে জৈবভাবে ষ চাষ হত। একটি চাষ উঠে যাওয়ার পর জমিতে চুন ফেলে রাখা হত অম্লত্ব কাটানোর জন্য। কিন্তু এখন একটি চাষের পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অপর চাষ শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে ব্যাপক রাসায়নিক সারের প্রয়োগে জমি স্বাভাবিকত্ব হারাচ্ছে। ফলে সুদূরপ্রসারী চাষ করতে হলে প্রথমেই বাঁচাতে হবে চাষের মাটিকে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করিয়ে মাটি উপযুক্ত করতে হবে, তবেই ভাল ফসল এবং রোগ-পোকার আক্রমনের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। কৃষকরা জানিয়েছেন এই আলোচনার ফলে তাঁরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন।
মৈনাক দেবনাথ