বাংলা কৃষি সেচ যোজনার মূল লক্ষ্য
১) এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল গরীব কৃষকদের বিনামূল্যে (জিএসটি ব্যতীত) ফসল সেচ সুবিধা-সহ তাঁদের ফসল চাষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা।
আরও পড়ুন: সম্প্রীতির নজির! গ্রামের একমাত্র হিন্দু পরিবারে মৃত্যু, সৎকার করলেন মুসলিমরা
২) পশ্চিমবঙ্গের সরকার এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র-সেচ সুবিধা স্থাপন করেছে যার ফলে এটি কৃষিক্ষেত্রে জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে, সর্বোপরি জলের অপচয় রোধে কার্যকর হবে।
advertisement
৩) দু'টি নির্দিষ্ট সেচ কৌশল চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি স্প্রিঙ্কলার সেচ এবং অন্যটি ড্রিপ সেচ। এই দু'টি পদ্ধতিই জলে সংরক্ষণে সহায়তা করবে। ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা ইনস্টল করতে ব্যয় হয় প্রায় ৭০,০০০ টাকা। এবং স্প্রিঙ্কলার সেচ মেশিন বসাতে ব্যয় হয় প্রায় ২০,০০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঘরে ঢুকতেই গ্যাসের গন্ধ, পরীক্ষা করার জন্য দেশলাই জ্বালালেন বৃদ্ধ! চরম পরিণতি
৪) দরিদ্র কৃষকদের পক্ষে আর্থিক ভাবে মেশিনগুলি বসানো সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সমস্ত মেশিন বিনামূল্যে প্রদান এবং ইনস্টল করা হবে। শুধুমাত্র জিএসটি-র (১২%) টাকা কৃষকদের দিতে হবে।
৫) শুধুমাত্র খাদ্যশস্য নয়। এই সেচ প্রকল্পটি শাকসব্জি এবং ফল চাষের জন্যও ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহ করবে।
৬) এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও জঙ্গলমহল জেলা তালিকার শীর্ষে রয়েছে কারণ এই সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম।
ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ১০০ শতাংশের অনুদান সরকার থেকে প্রযোজ্য এবং অন্যান্য কৃষকের জন্য ৪৫ শতাংশ অনুদান প্রযোজ্য। নিবন্ধীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা আধার কার্ড, জমি সংক্রান্ত নথি, ব্যাঙ্ক পাস বই, পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ফটো।
বাঁকুড়া জেলায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৮ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৬৯৬ জন কৃষক এখনও পর্যন্ত রেজিস্টার করেছেন। ৪০২টি ইনস্টলেশন পূর্ণ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বসানো হবে। এমনটাই খবর বাঁকুড়া জেলা কৃষি দফতর থেকে। বিশদে জানতে আপনার নিকটস্থ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা www.wbpmksy.org এই ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন।
Nilanjan Banerjee






