স্বর্নিভরতার লক্ষ্যে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিশার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ।
এই ‘কৃষি অলিম্পিকে’ এ রাজ্য ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের বহু মহিলা কৃষকও যোগ দেন। কৃষিকাজে সমবায়ের ভূমিকা, সরকারি মূল্যে কৃষিজাত পণ্য বিপণন ও বিকল্প কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরে যেমন কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, অর্থনীতির গবেষকদের আলাপ-আলোচনা হয় তেমনই নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ খেলার আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: খড়ের তুলনায় দাম অনেক কম! এই ঘাস চাষ করে মোটা টাকা আয়
জলবায়ুর পরিবর্তনে বার বার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় প্রান্তিক চাষি পরিবারের তরুণ প্রজন্ম কৃষিবিমুখ বলেও জানান সুন্দরবন থেকে ওড়িশার মালকানগিরি থেকে আসা শতাধিক কৃষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের তরফে কোঅর্ডিনেটর শুভদীপ পাল ও অগ্নিশ্বর ঝা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে বাস্তব চালচিত্রটা কৃষকদের কাছ থেকে শোনাটা আমাদের বেশি দরকার। যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় না। এই কৃষি অলিম্পিক আসলে কৃষকদের এক ছাতার নীচে আনার একটা মাধ্যম।’’
কৃষি আবহাওয়াবিদ দেবলীনা সরকার কৃষকদের চাষের সুবিধার জন্য আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রতিকূলতাগুলির সঙ্গে তাল মেলানোর উপায় কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ডায়মন্ড হারবার ২-এর সহকারী কৃষি আধিকারিক পিউ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিকল্প কৃষিতে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি কৃষিতে মহিলারাও এগিয়ে আসছেন।
এখানে চেরি টোম্যাটো ও হলুদ তরমুজ, সবুজ ফুলকপি সহ বিকল্প ফসলে চাষিদের আয়ের পথ দেখাচ্ছে। মাটি অনুযায়ী একেক জায়গায় একেক রকম আয়দায়ী ফসল উৎপাদন সম্ভব।
নবাব মল্লিক