তবে এই ফলের গাছে ফলন হতে সময় লাগে তিন বছর। তিনবছর ধরে জমি ফেলে রাখা কৃষকের পক্ষে সম্ভব নয়।সেই ক্ষতিপূরণের জন্য দুই সারি অ্যাভোকাডো গাছের মাঝের জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারে বা ক্ষতিপূরণ করতে পারে। মিশ্র চাষ অর্থাৎ ঝিঙ্গা, পটল, শশা, সুইট কর্ণ ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা যাবে বলে জানান অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ হর্টিকালচার ডাঃ খুরশিদ আলম।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চাহিদা তুঙ্গে, ইদে আগে লাচ্ছার কিনতে সদর বাজারগুলিতে লম্বা লাইন
তিনি আরও বলেন এই পরীক্ষামূলক চাষে লাভবান হলে আগামীতে আরও বেশি কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কারণ উওরবঙ্গের চাষিরা এই ফল যদি চাষ করতে পারে তা হলে অল্প খরচে লাভের পরিমাণ দেখতে পারবে । কারণ চারা গাছ থেকে একবার গাছ হয়ে গেলে বহু ফলন পাওয়া যায়। এই ফল গাছের বাগানের মধ্যে অন্যান্য সবজিও চাষ করতে পারবেন চাষিরা।
এই অ্যাভোকাডো চাষ নিয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর ডক্টর আলোক কুমার মন্ডল বলেন, জলপাইগুড়ি মোহিতনগর হর্টিকালচার ফার্মে এক একক জমিতে চাষ করা হচ্ছে অ্যাভোকাডো এবং চার হাজার আভোকাডো গাছের চারা ডুয়ার্সের বিভিন্ন পাহাড় এলাকার চাষিদের দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় এই চাষ কতটা উপযোগী তা জানার জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে এই ফলের চাষ করে দেখা হচ্ছে। যদি ভালো চাষ হয় তাহলে আরও চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অ্যাভোকাডো চাষে আগ্রহী করে তোলা হবে।
সুরজিৎ দে





