কারণ খুঁজতে গেলে চাষিরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে ক্যানিং, কাকদ্বীপ – এই জায়গাগুলোয় লঙ্কার ফলন হচ্ছে না। সেই কারণেই জোগান কম। অন্যদিকে, বাজারে গেলে বেলেডাঙা কাঁচা লঙ্কা বলে, বেশ মাথা মুড়িয়ে ক্রেতাদের চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু ব্যবসায়ীরা। এখন ওই বেলেডাঙা নামের লঙ্কাটি কোথাও ৩০০ টাকা কেজি কোথাও বা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই অনুব্রতহীন বীরভূমে তুুমুল উত্তেজনা, পৌঁছল বিশাল পুলিশ বাহিনী
কিন্তু, জানেন কি? ওটা বেলেডাঙা লঙ্কা নয়। আসছে ব্যাঙ্গালোর থেকে। সেই লঙ্কা বেলেডাঙার লঙ্কার মতো বেশ চিকন হয় এবং ওপরটাও তেলতেলে। তার জন্য মানুষকে বেলেডাঙা লঙ্কা হিসেবেই বিক্রি করতে সুবিধা হয় ব্যবসায়ীদের।
এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘‘আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহের আগে বাজারে রাজ্যের কাঁচা লঙ্কা আসা অসম্ভব। কারণ এবছর অত্যধিক খরা, বৃষ্টি না হওয়া ইত্যাদির জন্য লঙ্কারফল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লঙ্কা আমাদের রাজ্যে আসছে।’’
আরও পড়ুন: জয়ী ঘোষণার পরেই বলে পরাজিত! BJP প্রার্থীদের হয়ে পথে সুকান্ত, তুমুল তোপ
জানা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের সেই লঙ্কাই পাইকারি বাজারে ১০০ – ১২০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্যাঙ্গালোরের লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি হিসাবে পাইকারি।
উপায় যে কিছু নেই, তা একরকমা স্বীকার করছেন টাস্ক কোর্সের সদস্যদের একাংশ। তবুও বাজারে গিয়ে পরিদর্শন করে দাম কিছুটা কমানোর কথা বলা ছাড়া ছাড়া তাঁদের বিশেষ কিছু করণীয় নেই।