জেলা জুড়ে প্রতিদিনই লক্ষাধিক টাকার ফুল নষ্ট হচ্ছে বলে জানা যায় ফুল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকদিন ফুলের বাজার বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বেশ কিছুদিন ধAরে তাপ প্রবাহ বেশ জোরাল হওয়ায় ফুল বেশিদিন ধরে ভাল রাখা যাচ্ছে না।শুধুমাত্র জলের স্প্রে দিয়ে কোনও রকমে টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে।পাশাপাশি, অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাইরে থেকে রকমারি ফুল নিয়ে আশায়, চাহিদা না থাকার ফলে নষ্ট হচ্ছে রকমারি ফুল।ফলস্বরূপ ক্ষতির মুখে ফুল ব্যবসায়ীরা।
advertisement
দোকানগুলোতে রকমারী গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, সিলভিয়া, জারবেরা, অর্কিড, রজনীগন্ধার মতো রঙ বেরঙের ফুল দেখা যায়। কয়েকবছর আগে অবধি বিভিন্ন বিয়েবাড়িতে এইসব বাহারি ফুলের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে কৃত্রিম ফুলের দাপটে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে এই ফুলগুলি। ফলে, বাইরে থেকে এত দাম দিয়ে কিনে আনলেও গরমের কারণে বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছে না ফুল গুলিকে।
আরও পড়ুন: ক্ষুদে সঙ্গীত শিল্পীদের মঞ্চ ভীতি কাটাতে বিরাট আয়োজন বালুরঘাটে
৩ থেকে ৪ দিন পরেই নেতিয়ে পড়ছে আবার শুকিয়ে পঁচে যাচ্ছে রকমারি ফুল গুলি।এতে, ফুল ব্যবসায়ীদের অনেকটাই পুঁজির ঘাটতি হচ্ছে।কৃত্রিম ফুল পচে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়ার ভয় থাকেনা বলে অনেকেই তা ব্যবহারের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন।এরফলেই, বাজারে পাওয়া কৃত্তিম ফুলের চাহিদা বাড়ছে অনেকাংশে। বাহারি ফুলের চাহিদা কমে যাওয়ায়, রীতিমতো আতঙ্কিত ফুল ব্যবসায়ীরা।
ফুল ব্যবসায়ীরা জানান,”আগে যেকোনও অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়ির গাড়ি সজ্জা রকমারি ফুল দিয়েই হত। বর্তমানে অত্যাধিক গরমে ফুলগুলো টাটকা, সতেজ না থাকার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা কৃত্রিম ফুল পছন্দ করছে। এতে আমাদের ব্যবসা অনেকটাই মার খাচ্ছে।” ফুলের দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি জাতের ফুল। নানা দামে বিক্রি হয় নানা সৌন্দর্যের এসব ফুল। কিন্তু আশানুরূপ ক্রেতা নেই।যে পরিমাণ ফুল মজুত করেছেন, সেগুলো নষ্ট হওয়া নিয়ে চরম আশঙ্কায় ফুল ব্যবসায়ীরা।
সুস্মিতা গোস্বামী