শিখরপুরের মাঠেই দেখা মিলল উজির আলীর। বছর তিরিশের উজির জলের পাইপ নিয়ে সিলেকশান ঘাসের জমিতে জল দিচ্ছিলেন। কাজ করতে করতে তিনি জানান, '১২ বছর ধরে শুধু ঘাস চাষ করছি। আমার কাকা, জ্যাঠারাও এই চাষ করেন। সারাবছরই ঘাস চাষ করা যায়। ঝড়, বৃষ্ঠি, খারাপ আবহাওয়াতেও ঘাসের কোন ক্ষতি হয় না। সারা ভারতবর্ষতো বটেই, বিদেশেও চাহিদা আছে। ঘাস চাষ করেই আমাদের রুটি রুজি চলে।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘায় পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর! সৈকত শহরে মিলবে দারুণ 'এই' পরিষেবা
উজির আরও জানালেন, এক বিঘা জমিতে সিলেকশান ঘাস চাষ করতে দু হাজার টাকার মত মাটি, পাঁচ হাজার টাকার প্ল্যাস্টিক, ছ’হাজার টাকার সার এবং সাত হাজার টাকার মত খরচ হয়। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ। দু-সপ্তাহের মধ্যেই সেই ঘাস কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
নার্সারীর চাষিরা আড়াই বাই চার ফুট অর্থাৎ ১০ ফুটের ছোট ছোট কার্পেট তৈরি করেন। সেগুলিই রোল করে বড় বান্ডিল করে তা গাড়ি বোঝাই হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যায়। যা বিক্রি হয় চড়া দামে। মাঠ থেকে যে কার্পেট সরাসরি ৩-৪ টাকা বর্গফুট দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে, তা রিটেলে বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা বর্গফুট দরে। তাই অনেকেই এখন মজেছেন এই বিশেষ ঘাস চাষে।
Rudra Narayan Roy