উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষের জন্য পলি মালচিং শীটের প্রয়োজন হয়। ওই শীটের একদিক কালো রঙের হয় এবং অপর দিক রূপালী রঙের হয়। মূলত চাষের জমি তৈরি করার পর সেখানে ওই শীট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই শীটের মধ্যে ছিদ্র করে সেখানে চারা বসানো হয়। এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে চাষের জমিতে আগাছা নিধনের জন্য নিড়ানির যে খরচ থাকে, তা লাগে না। মাটি জল সংরক্ষণ হওয়ায় সেচের খরচ কমে। রোগ পোকা মাকড়ের উপদ্রব কমে যায় সহ একাধিক সুবিধা হয়।
advertisement
পাশাপাশি ফলনও ভালো হয় বলে দাবি চাষীদের। আব্বাসউদ্দিন জানান, বহরমপুরে তিনি এই পদ্ধতিতে চাষ দেখেছিলেন। তারপর নিজের জমিতে পদ্ধতিতে চাষ করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ওই পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রয়োজন পলি মালচিং শীটের। কিন্তু এই জেলায় একাধিক জায়গা ঘুরে তিনি ওই শীট পান নি। পরে ইউটিউবের মাধ্যমে মেদিনীপুরের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শীট আনানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম? 'গলা আমার নয়..' ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে সাফাই বিধায়কের!
আরও পড়ুন, বড় খবর! বাড়ানো হল প্যান-আধার কার্ডের লিঙ্ক করার সময়সীমা, জানুন বিশদে
এরপর এই বছর প্রথম তিনি এই পদ্ধতিতে চাষ করেছেন। তিনি জানান, "সাধারণভাবে চাষ করতে আমাকে নিড়ানি খরচ বাবদ প্রায় ১০ হাজার টাকা দিতে হত এবং সেচের জন্য প্রায় ছ'হাজার টাকা। সেখানে নিড়ানি খরচ এক টাকাও লাগে নি। আবার সেচের খরচও তিনভাগের এক ভাগ। পরিবর্তে ওই শীটের দাম ও আনানোর জন্য রোল প্রতি প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।"
তাঁর কথায়," খরচ অনেকটা কমে যায়। পাশাপাশি ফসল খুব ভাল হয়। আমি এবার থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে চাষ করব।"
Subhadip Pal