পুকুরের প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রয়েছেই যেখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ ছাড়াও থাকছে গুগলি বা শামুক। আবার পুকুরের পাড় বরাবর চাষ করা যেতে পারে বিভিন্ন শাকসবজি বা ফলমূল। তিন বিঘার মধ্যে এক বিঘাতে পুকুর এবং বাকি দু বিঘায় অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কম জায়গার মধ্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস চলছে বাঁকুড়ার রাজোগ্রামে অবস্থিত সহজপাঠ কৃষি, মৎস্য ও উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে।
advertisement
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের থোড় এই ভয়ানক রোগ থেকে রেহাই দেবেই! জানতেন?
এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে প্রথমত থাকছে পুকুরের মাছ এবং সেই একই পুকুরে বিচরণ করতে পারবে হাঁস এবং পুকুর থেকেই তারা প্রয়োজনীয় খাদ্যের বড় অংশ পেয়ে যাবে। সহজপাঠ-এ পুকুরের পাড়ে বসান আছে কলা, পাতিলেবু, বেদানা, সজনে গাছ। একটি কৃষক যদি দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করে তাহলে পুকুরপাড় বরাবর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বসানো যেতে পারে সেগুন গাছ বা মেহগিনি গাছ। যদি পাশাপাশি দুটি পুকুর থাকে তাহলে গ্রীষ্মকালে দুটি পুকুরের জল একটি পুকুরে ফেলে , শুষ্ক পুস্করিনির পাক ব্যবহার করা যেতে পারে উৎকৃষ্ট সার হিসেবে।
একটু প্ল্যান মাফিক ভাবেই অল্প জায়গার মধ্যে সফল ভাবে চাষ করতে পারবেন কৃষক। এবং এই স্পেস ম্যানেজমেন্ট করে সব রকম ফসলের চাষাবাদ করে রাস্তা দেখাচ্ছে বাঁকুড়ার সহজপাঠ। জনসংখ্যা বাড়ছে এবং জনসংখ্যা বাড়ার ফলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাসযোগ্য এবং চাষযোগ্য ভূমিতে। বাঁকুড়া জেলার রুক্ষ সুক্ষ মাটিতে চাষযোগ্য ভূমি রয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে এবং সেই চাষযোগ্য ভূমিগুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম ফসল ফলানো একটি কৃষকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এই সমীকরণটি সমাধান হয়ে যাবে যদি একটি বা দুটি পুকুর থাকে। তাহলেই পুকুরকে কেন্দ্র করে করা যেতে পারে একাধিক চাষ, এমনটাই করে দেখাল বাঁকুড়ার সহজপাঠ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি