TRENDING:

Apple: রাঁচির গাছে ‘কাশ্মীরি’ আপেল, দেখলেও বিশ্বাস হবে না!

Last Updated:

রাঁচির সুকুরহুট্টুতে অবস্থিত গোশালায় হচ্ছে আপেল চাষ। এই প্রথম রাঁচিতে আপেল চাষ হচ্ছে। সফল ভাবেই হচ্ছে বলা যায় কারণ গাছে গাছে প্রচুর ফল ধরেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আপেল মানেই কাশ্মীর, অথবা হিমাচল। এমনই ভাবতে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু সেই ধারণাকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়ে আপেল চাষ হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি।
রাঁচির গাছে ‘কাশ্মীরি’ আপেল, দেখলেও বিশ্বাস হবে না!
রাঁচির গাছে ‘কাশ্মীরি’ আপেল, দেখলেও বিশ্বাস হবে না!
advertisement

রাঁচির সুকুরহুট্টুতে অবস্থিত গোশালায় হচ্ছে আপেল চাষ। এই প্রথম রাঁচিতে আপেল চাষ হচ্ছে। সফল ভাবেই হচ্ছে বলা যায় কারণ গাছে গাছে প্রচুর ফল ধরেছে।

স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞ নির্মলকৃষ্ণ চন্দ্র নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বছর দুয়েক আগে হিমাচল থেকেই আপেল গাছ এনেছিলেন তাঁরা। এখন সেগুলি ফল দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫ কাঠা জমিতে ৯৯ জাতের চারা রোপণ করেছি। একটি গাছে ৪০ থেকে ৫০টি ফল এসেছে।’ বাগানে ঢুকে দেখা গেল সবুজ ফলে ছেয়ে রয়েছে বাগান। আরও কিছুদিন পর ফল পেকে লাল রঙ ধরবে।

advertisement

আবহাওয়া:

কৃষি বিশেষজ্ঞ নির্মল জানিয়েছেন, কাঙ্কে এলাকায় এই গাছগুলি জন্মেছে, কারণ কাঙ্কে রাঁচির অন্যতম শীতল স্থান। শহর থেকে দূরে, কাছাকাছি পুকুর ও বাঁধও রয়েছে। ফলে ঠান্ডা আবহাওয়া। তবু হিমাচল থেকে আনা ৫০টি আপেল চারার মধ্যে বেঁচেছে মাত্র ৩১টি। তা-ই ফল দিচ্ছে।

বিশেষ সার:

এই গাছের জন্য বিশেষ সারের প্রয়োজন। প্রথমে ২ ফুট গর্ত খুঁড়ে খড় দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হয়। তারপর আগুন নিভলে গোবর সারে গুড় ও বেসনও মিশিয়ে এক সপ্তাহ রেখে দেওয়া হয়। এই কম্পোস্ট গাছে দেওয়া হয়। কোনও রাসায়নিক মেশানো হয় না।

advertisement

কীটনাশক:

নিমের তেলও ব্যবহার করা হয় কীটনাশক হিসেবে। জলে মিশিয়ে তা প্রয়োগ করা হয়।

গরু বা অন্য প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচাতে বাগান ঘিরে রাখা হয়েছে। ফল সম্পূর্ণ পাকলে গোশালায় স্টল বসিয়ে বিক্রি করা হবে। আয়ের টাকা ব্যয় করা হবে গোশালার উন্নয়নে।

আরও পড়ুন: আমও নাকি সুগার ফ্রি! ডায়াবেটিস হোক বা ব্লাড সুগার মনের সুখে খেতে পারবেন এই আম

advertisement

নির্মল বলেন, হরমন এবং অন্য জাতের আপেলের গুণমান পরীক্ষা করার পরেই তাঁরা কৃষকদের এই গাছ লাগাতে উৎসাহিত করবেন। এজন্য প্রায় তিন বছর সময় লাগতে পারে। রাঁচির অনেক জায়গায় মাটি খুব অনুকূল, তাই কৃষকরা উপকৃত হতে পারেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওএন সিং নিজেও হরমন-সহ চার ধরনের গাছের বরাত দিয়েছেন। গত বছর প্রায় দুই শতাধিক চারা রোপণ করা হয়েছে সেখানে। এখন সেই সব গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Apple: রাঁচির গাছে ‘কাশ্মীরি’ আপেল, দেখলেও বিশ্বাস হবে না!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল