তরমুজ চাষি বিক্রম বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা তরমুজ চাষ করেন। প্রতিবছর এই মরসুমে এই চাষ করেই লাভবান হন তাঁরা। তবে আরেকটি বিষয় হল। তরমুজের পাশাপশি তাঁরা প্রচুর মিষ্টি কুমড়োর চাষও করে থাকেন। এতে লাভের মাত্রা বৃদ্ধি পায় অনেকটাই। একমাসে এক একটি গাছের মিষ্টি কুমড়ো তৈরি হয়ে যায়। এছাড়া এক একটি গাছে আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয়টি কুমড়ো সহজেই হয়। তাই লাভ পাওয়া যায় অনেকটাই। খুচরো বিক্রি কিংবা পাইকারি বিক্রি করেও লাভের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি এই বিশেষ চাষের ক্ষেত্রে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর অবসর নিতে চাইছেন ? বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ কি যতেষ্ট হবে? দেখুন হিসেব
তিনি আরোও জানান, “এই চাষ করতে আলাদা করে বিশেষ কিছু সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। গাছ লাগানোর সময় গোবর সার দিতে হয়। আর পরে কীটনাশক হিসেবে নিম তেল ব্যবহার করতে হয়। এক একটি কুমড়ো পাইকারি প্রায় ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।” কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “মিষ্টি কুমড়ো চাষের জন্য গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, বোরাক্স এবং জিংক অক্সাইড সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে।”
আরও পড়ুন: টাকা বাড়তেই থাকবে, SIP দেয় এই ৫ বড় সুবিধা, জানলেই বিনিয়োগও হবে স্মার্ট
বর্তমান সময়ে জেলার বহু কৃষক এভাবেই তরমুজ চাষের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করছেন। আর এতেই প্রচুর পরিমাণ লাভের মাত্রা গুনতে পারছেন কৃষকেরা। বছরের পর বছর ধরে এই নিয়মে লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে আসছেন এই সমস্ত কৃষকেরা। অন্যান্য কৃষকেরাও চাইলেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই নিজেদের লাভের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। তবে কৃষককে চাষের নিয়ম গুলি সম্পর্কে অবশ্যই সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
Sarthak Pandit





