ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ধান উৎপন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু শীত পরবর্তী পর্যায়ে জলের অভাবে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে কোনও ফসল ফলানও হয় না। তার মূল কারণ হল জলের অভাব। কিন্তু ডাল শস্য অল্প জলেও চাষ করা সম্ভব এবং তার থেকে ভাল অর্থ উপার্জন করা সম্ভব রয়েছে। চাষিদের ডাল শস্য চাষে আগ্রহী বাড়াতে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ডাল শস্য চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন সোনার দাম বাড়ছে? সাত সপ্তাহে ৯,৫০০ টাকা দাম বাড়ার পিছনে মূল কারণগুলি কী কী?
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় জলের সরবরাহ রয়েছে বা পাম্প রয়েছে সেখানের চাষিরা ধান অথবা বাদাম চাষ করে থাকে। কিন্তু যেসব জায়গায় পাম্পের ব্যবস্থা নেই সেই সব জায়গায় ডাল শস্য চাষ করার জন্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ডালের বীজও তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। কৃষি দফতরের দাবি, দীর্ঘ তিন চার বছর ধরে গোপীবল্লভপুরের আলমপুর এলাকার কৃষকরা পরীক্ষামূলকভাবে ডাল শস্য চাষ করছে। চাষ করে আর্থিক উপার্জনও করেছে কৃষকরা। কিন্তু বিস্তর এলাকা জুড়ে না হলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাল শস্য চাষ বেড়েছে বলেও দাবি কৃষি দফতরের ।
আলমপুর গ্রামের চাষি মদন বেরা, পঙ্কজ ঘোষাল , গৌরাঙ্গ মন্ডলরা বলেন,\”শীতের পরবর্তী সময়ে জলের অভাবে চাষ যোগ্য জমি ফাঁকা পড়ে থাকত। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ডাল শস্য বীজ দেওয়ার পর আমরা তা রোপন করেছিলাম। অল্প জলেই চাষ করা সম্ভব হয়েছিল এবং ভালো অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব হয়েছে। তাই আমরা শীত পরবর্তী সময়ে ডাল শস্য চাষ করছি\”। জঙ্গলমহলের মত এলাকায় যেখানে বছরে একমাত্র বৃষ্টির জলের উপর ভরসা করে চাষাবাদ হয়ে থাকে সেই জায়গায় কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ডাল শস্য চাষ করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রান্তিক চাষিরা ।
বুদ্ধদেব বেরা