পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাঙ্কিং নয়: অনেকেই বিনামূল্যে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করেন। এটা দিয়ে সাধারণ ব্রাউজ করা যায়। কিন্তু অনলাইন ব্যাঙ্কিং নৈব নৈব চ। আসলে পাবলিক ওয়াইফাইতে নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না। হ্যাকার কিংবা ভাইরাস, সহজেই অ্যাক্সেস পেতে পারে। অনলাইন ব্যাঙ্কিং করতে ৪জি ব্যবহার করাই ভাল কিংবা নিরাপদ পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ওয়াইফাই।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে লম্বা উইকএন্ড কটা পড়ল? দেখে নিন, সেই মতো ঠিক করুন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান
লগ ইন তথ্য সেভ করা উচিত নয়: কিছু ওয়েবসাইট লগ ইন তথ্য সংরক্ষণ করার বিকল্প দেয়। কিন্তু ব্যবহারকারীর কম্পিউটার যদি অন্যান্যরাও অ্যাক্সেস করে তাহলে লগ ইন তথ্য সেভ না করাই উচিত। তাই তথ্য গোপন রাখতে হবে।
পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে পাসফ্রেজ ব্যবহার: পাসফ্রেজ পাসওয়ার্ডের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এগুলো পাসওয়ার্ডের থেকে বড় এবং শব্দের মধ্যে ফাঁক থাকে। যেমন ‘প্রতিটা মুহূর্ত একটা নতুন শুরু’। এমন পাসফ্রেজ ব্যবহার করা ভাল কারণ এগুলো মনে রাখা সহজ এবং ক্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক লকারের এই নিয়ম, এখনই না জানলে বিপদে পড়বেন!
আপডেট করতে হবে: ডিভাইসগুলো সর্বদা সর্বশেষ সংস্করণে আপডেট রাখা উচিত। এটা অ্যাপ আপডেটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যথাযথ আপডেট থাকলেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করার সময় অনলাইন নিরাপত্তা উন্নত থাকবে।
ই-মেল লিঙ্কে ক্লিক নয়: কোনও ই-মেল এসেছে? যেটা মনে হচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকে হতে পারে। কখনওই এমন লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়। পরিবর্তে অ্যাপ খুলে নিজের দেখে নেওয়া উচিত। সাধারণত ফিশিং স্ক্যামগুলো তথ্য ক্যাপচার করার জন্য এমন লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করানোর চেষ্টা করে। ফাঁদে পা দিলেই ইউজারের সব তথ্য তাঁদের দখলে চলে যাবে।
অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা: নির্দিষ্ট সময় অন্তর অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা উচিত। কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখলেই রিপোর্ট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করার সময় নিরাপদ ওয়াইফাই কিংবা ৪জি ব্যবহার করাই ভাল।
ইউনিক ইউজার নেম: ইউজার নেমে অনেকেই নিজের নাম দেন। হ্যাকাররা এগুলো সহজেই বের করতে পারে। বদলে এমন ইউজারনেম ব্যবহার করতে হবে যা সহজে ক্র্যাক করা সম্ভব নয়।