তবে, অক্ষয় কথাটি আদতে কিন্তু ভেবে দেখার মতো। কেন না, এই তিথিতে করা পুণ্যকাজের ফল যেমন অক্ষয় হবে, ভুলের জন্যও তেমনই বইতে হবে অক্ষয় দুর্ভোগ। বিশেষ করে ৭ কাজ করলে পড়তে হবে আজীবন দারিদ্র্যের মুখে!
আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনায় বিপুল ছাড় দিচ্ছে এই দোকানগুলো!
ক্রোধ সম্বরণ
advertisement
অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে রাগ করা চলবে না। মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ ব্যক্তির উপাসনা গ্রহণ করেন না, তাই তাঁকে ডাকতে হবে শুদ্ধ শান্ত চিত্তে। পাশাপাশি, পুজোর সময়ে এন কোনও আওয়াজ বা কাজও করা চলবে না, যা দেবীকেও রাগিয়েও দিতে পারে।
অনিষ্ট চিন্তা
অন্যের ক্ষতি কী করে করা যায়- এই চিন্তাও মন থেকে একেবারে বাদ দিতে হবে। বরং, হতে হবে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল। পূজা অন্তে অভাবীদের সাধ্যমতো দান করতে হবে।
ঘর অন্ধকার রাখা
এই তিথিতে ঘর আলোকিত না রাখলে অন্ধকারই ভাগ্যে অক্ষয় হবে। অতএব, ঘরের প্রতি কোণে আলো দিতে হবে, জ্বেলে রাখতে হবে সব আলো, যা দেখে প্রসন্ন হয়ে মা লক্ষ্মীর আগমন হবে গৃহস্থের বসতবাটিতে।
লক্ষ্মী-নারায়ণের আরাধনা
অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য লগ্নে দেবী লক্ষ্মীর যেমন আরাধনা করা হয়, তেমনই সারা বৈশাখ মাস জুড়ে চলে প্রভু বিষ্ণুর উপাসনাও। কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়ায় তাঁদের আরাধনা করতে হবে একত্রে, আলাদা করে পুজো করলে প্রসন্ন হবেন না এই দেবদম্পতি।
খালি হাতে ঘরে ফেরা
এই পুণ্য তিথিতে সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে একেবারে খালি হাতে বাড়ি ফিরে আসা উচিত হবে না। মূল্যবান কিছু কেনার ক্ষমতা না থাকলে যা হোক কোনও ধাতুর দ্রব্য কিনে আনা উচিত।
শুদ্ধতা রক্ষা
যে কোনও পুণ্য তিথিতেই শারীরিক-মানসিক শুদ্ধতা রক্ষা অবশ্য কর্তব্য। তাই এদিন ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করতে হবে, স্বচ্ছ রাখতে হবে গৃহকোণও।
তুলসী চয়ন
তুলসী অতি পবিত্র বৃক্ষ। তাই স্নান সেরে শুদ্ধ বসনেই একমাত্র এদিন তুলসী পাতা ছেঁড়া যাবে- অন্যথা কদাপি নয়।