ব্রোকারেজ ফার্ম এডেলউইস-এর পর্যবেক্ষণ হল, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা সঠিক হাতে রয়েছে। কোম্পানির বর্তমান ব্যবসাগুলিকে একত্রিত করার পাশাপাশি তারা দামের দিকেও নজর দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাজারের অবস্থা অনুযায়ী চতুরতার সঙ্গে সেগুলি ঠিক করার কাজও চলছে। এছাড়াও সংস্থাটি বক্সাইট, বেন্টোনাইট এবং সিলিকা বালি খনির মতো অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবসাগুলিতেও মনোনিবেশ করছে। যা থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
advertisement
আগামী দিনে রাজস্ব বাড়বে: ব্রোকারেজ ফার্ম বিশ্বাস করে, আগামী কয়েকমাস জিএমডিসি-র জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিসিজি এবং এটিকে তাদের সুপারিশ এবং ফলাফলগুলি তুলে ধরবে৷ এছাড়াও, লিগনাইটের দামও বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কাঠামোগতভাবে এটির মূল্য নির্ধারণ এবং বিক্রয় প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই কোম্পানির আয়ে আরও বৈচিত্র আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে এদের আয়ের ৮০ শতাংশ আসে শুধু লিগনাইট থেকে। আগামী দিনে সেটা ৫০ শতাংশ হতে পারে। কারণ তারা ঐতিহ্যবাহী লিগনাইটের এই ব্যবসা ছাড়াও অন্যান্য খাত থেকে আয়ের রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিসিজি কোম্পানিকে নিযুক্ত করেছে জিএমডিসি। যাতে কোন কোন পণ্যের মূল্য বাড়ানো যায় এবং আরও কোন কোন উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়।
আরও পড়ুন: ঘুরতে-ঘুরতে যদি হঠাৎ থেমে যায় পৃথিবী, কী হতে পারে জানেন? জানলে অবাক হয়ে যাবেন
তবে কোম্পানির লিগনাইট বিভাগ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ভলিউম এবং অভিজ্ঞতা দুই ক্ষেত্রেই বেড়েছে। তাই বছরে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে গুজরাত মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: পাড়ার কুকুরগুলোর প্রবল চিৎকার, এরপরই বাড়ির বাথরুমে যা দেখা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ
বাই রেটিং সহ ২৪৫ টাকা লক্ষ্য মূল্য: তাই জিএমডিসি-র মাল্টিব্যাগার স্টকে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে এডেলউইস। এই স্টকের জন্য ২৪৫ টাকা লক্ষ্য মূল্য দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে এই স্টক বিনিয়োগকারীদের ১৬০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। পাশাপাশি গত এক বছরে ২২৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। বুধবার, ৩০ মার্চ, এনএসই-তে জিএমডিসি-র স্টক ১৯০.৯০ টাকায় (জিএমডিসি শেয়ারের মূল্য) বন্ধ হয়েছে৷