Earth: ঘুরতে-ঘুরতে যদি হঠাৎ থেমে যায় পৃথিবী, কী হতে পারে জানেন? জানলে অবাক হয়ে যাবেন

Last Updated:
Earth: পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘণ্টায় ১৪৭০.২৩ কিমি বেগে ঘুরতে থাকে। যদি পৃথিবী হঠাৎ করে ঘোরা বন্ধ করে দেয়, তবুও আমাদের পরিবেশের সবকিছু কিন্তু আগের মত একই বেগে থাকবে।
1/6
মহাকাশের অনেক ঘটনারই হয়ত ব্যাখ্যা মিলেছে, আবার অনেক ঘটনার কোনো ব্যাখ্যাই এখনও পর্যন্ত মেলেনি। পৃথিবীটা যদি শুধু মাত্র ২০ সেকেন্ডের জন্য তার নিজ অক্ষে ঘোরা বন্ধ করে দেয় তবে কী ঘটবে জানেন? যদিও এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আগামী কয়েক বিলিয়ন বছরেও নেই।
মহাকাশের অনেক ঘটনারই হয়ত ব্যাখ্যা মিলেছে, আবার অনেক ঘটনার কোনো ব্যাখ্যাই এখনও পর্যন্ত মেলেনি। পৃথিবীটা যদি শুধু মাত্র ২০ সেকেন্ডের জন্য তার নিজ অক্ষে ঘোরা বন্ধ করে দেয় তবে কী ঘটবে জানেন? যদিও এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আগামী কয়েক বিলিয়ন বছরেও নেই।
advertisement
2/6
আসলে পৃথিবী খালি জায়গায় ঘুরছে এবং এর সঙ্গে কোন ঘর্ষণ শক্তি নেই। কিন্তু তারপরও একটা জিনিস অবশ্যই তাকে কমিয়ে দিচ্ছে, সেটি হল চাঁদ। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর দিকে চাঁদের অংশ এবং চাঁদের দিকে পৃথিবীর অংশ সঠিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ নয়, ফলস্বরূপ, পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব রয়েছে, যার কারণে উভয় দিকে মহাসাগর দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকছে।
আসলে পৃথিবী খালি জায়গায় ঘুরছে এবং এর সঙ্গে কোন ঘর্ষণ শক্তি নেই। কিন্তু তারপরও একটা জিনিস অবশ্যই তাকে কমিয়ে দিচ্ছে, সেটি হল চাঁদ। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর দিকে চাঁদের অংশ এবং চাঁদের দিকে পৃথিবীর অংশ সঠিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ নয়, ফলস্বরূপ, পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব রয়েছে, যার কারণে উভয় দিকে মহাসাগর দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকছে।
advertisement
3/6
পৃথিবী সম্পূর্ণ স্থির, কিন্তু তবুও সে সূর্যের চারিদিকে ঘুরবে এবং ৬ মাস রাত আর ৬ মাস দিন থাকবে। বিষুবরেখার দিকে তাপমাত্রা থাকবে মেরু অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। বেঁচে থাকার সব আশা শেষ। ৬ মাস প্রচণ্ড উত্তাপ আর ৬ মাস তাপমাত্রা -৫৫ ডিগ্রিরও নিচে থাকবে। মানুষের শরীর তাকে এই পরিবেশে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করবে। এভাবেই চলতে থাকবে চলবে, যত দিন না সূর্য 'লাল দানবে' পরিণত হয়।
পৃথিবী সম্পূর্ণ স্থির, কিন্তু তবুও সে সূর্যের চারিদিকে ঘুরবে এবং ৬ মাস রাত আর ৬ মাস দিন থাকবে। বিষুবরেখার দিকে তাপমাত্রা থাকবে মেরু অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। বেঁচে থাকার সব আশা শেষ। ৬ মাস প্রচণ্ড উত্তাপ আর ৬ মাস তাপমাত্রা -৫৫ ডিগ্রিরও নিচে থাকবে। মানুষের শরীর তাকে এই পরিবেশে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করবে। এভাবেই চলতে থাকবে চলবে, যত দিন না সূর্য 'লাল দানবে' পরিণত হয়।
advertisement
4/6
তবে যদি এমনটা সত্যিই ঘটে, কী হতে পারে? কী বলছে বিজ্ঞান? পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘণ্টায় ১৪৭০.২৩ কিমি বেগে ঘুরতে থাকে। যদি পৃথিবী হঠাৎ করে ঘোরা বন্ধ করে দেয়, তবুও আমাদের পরিবেশের সবকিছু কিন্তু আগের মত একই বেগে থাকবে। আর এর ফলে সবকিছু আকাশে উড়তে থাকবে।
তবে যদি এমনটা সত্যিই ঘটে, কী হতে পারে? কী বলছে বিজ্ঞান? পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘণ্টায় ১৪৭০.২৩ কিমি বেগে ঘুরতে থাকে। যদি পৃথিবী হঠাৎ করে ঘোরা বন্ধ করে দেয়, তবুও আমাদের পরিবেশের সবকিছু কিন্তু আগের মত একই বেগে থাকবে। আর এর ফলে সবকিছু আকাশে উড়তে থাকবে।
advertisement
5/6
ধরা যাক, একটি বাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। হঠাৎ বাসটির সামনে একটা কুকুর এসে গেল এবং চালক কুকুরকে বাঁচাতে হার্ড ব্রেক করলেন। এর ফলে বাসের যাত্রীরা সবাই অনেক জোরে সামনে ঝুঁকে যাবে। যারা দাঁড়ানো ছিল তাদের অবস্থা ডাইভ দিয়ে বল ধরার মত হবে। এই বিষয়টি যখন ঘণ্টায় ১৪৭০.২৩ কিমি. বেগের ক্ষেত্রে হবে, তখন একেবারে ছিটকে পড়তে হবে পৃথিবী থেকে।
ধরা যাক, একটি বাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। হঠাৎ বাসটির সামনে একটা কুকুর এসে গেল এবং চালক কুকুরকে বাঁচাতে হার্ড ব্রেক করলেন। এর ফলে বাসের যাত্রীরা সবাই অনেক জোরে সামনে ঝুঁকে যাবে। যারা দাঁড়ানো ছিল তাদের অবস্থা ডাইভ দিয়ে বল ধরার মত হবে। এই বিষয়টি যখন ঘণ্টায় ১৪৭০.২৩ কিমি. বেগের ক্ষেত্রে হবে, তখন একেবারে ছিটকে পড়তে হবে পৃথিবী থেকে।
advertisement
6/6
যখন ঘূর্ণন গতি ৯০০-৫০০ কি.মি. প্রতি ঘণ্টায় হবে, তখন পৃথিবীর একপাশে (যে পাশে সূর্য থাকবে) দিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকবে, আর অন্য পাশে একই সঙ্গে রাতের পরিমাণও বেড়ে যাবে। যার ফলে ১০-১৩ দিন পরপর রাত আসবে। ফলে আমাদের সাধারণ ঘুমের সমস্যা হবে। মতিভ্রম হবে, আমাদের শরীরের পেশীগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেবে, আমদের মস্তিষ্ক তথ্যকে সঠিক ভাবে প্রেরণও করতে পারবে না।
যখন ঘূর্ণন গতি ৯০০-৫০০ কি.মি. প্রতি ঘণ্টায় হবে, তখন পৃথিবীর একপাশে (যে পাশে সূর্য থাকবে) দিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকবে, আর অন্য পাশে একই সঙ্গে রাতের পরিমাণও বেড়ে যাবে। যার ফলে ১০-১৩ দিন পরপর রাত আসবে। ফলে আমাদের সাধারণ ঘুমের সমস্যা হবে। মতিভ্রম হবে, আমাদের শরীরের পেশীগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেবে, আমদের মস্তিষ্ক তথ্যকে সঠিক ভাবে প্রেরণও করতে পারবে না।
advertisement
advertisement
advertisement