পরবর্তী সময়ে গান্ধিনগর ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ এ এক পাটিগণিতের হিসাব ৷ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে হলে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আগে আসতে হবেই হবে ৷ সেই মত ৮০ আসন বিশিষ্ট লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৭১ টি আসনই পেয়েছিল ৷ বিধানসভার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল একই ঘটনা ৷
বিজেপির সহযোগী দল ২টি, সপা ৫টি ও কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল ৷ তবে তখন অবশ্য বিরোধীরা একা একা লড়েছিল ৷ এর মাঝের সময়ে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ফুলহার ও গোরক্ষপুর উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয় এবং বিরোধীদের একজোট হওয়া স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মোদি-শাহের কপালে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : পাকিস্তান ফেরৎ গীতার স্বয়ম্বর সভা আজ, ১০ মিনিট করে সময় পাবে ১৪ যুবক
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব মিলেই বিজেপি বিরোধী জোটের পালে হাওয়া লেগেছে ৷ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১২ সিটে ২০১৪ সালে বিজেপি ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ৷ কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৪ শতাংশ ভোট, বসপা পেয়েছিল ১৯.৫৭ শতাংশ, সপা ৪.৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ৷ যদি সব বোট একত্রিত হয় তবে নিশ্চিত ভাবে বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি ৷
তেমনই বুন্দেলখণ্ড সহ ১০ আসন , ঝাঁসী, সীতাপুর, ফৈজাবাদ, হরদিই, সুলতানপুর, ইটাবা, ফতেহপুর, গোরক্ষপুর সহ ২০টি আসনে এছাড়াও সব আসনে বুথ ভিত্তিক সমীক্ষা করলে দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি যদি এমনটাই চলে তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দখলে ৭১টি আসনের মধ্যে ধরে রাখতে পারবে মাত্র ২৫টি আসন ৷
আরও পড়ুন : অবশেষে উদ্ভবের ঠাকরের মানভঞ্জনে অমিত শাহ, দীর্ঘ বৈঠক দু'নেতার