আরও পড়ুন: প্রস্তুতি শুরু, পুজোয় বড় টার্গেট তৃণমূলের! লক্ষ্য শুনলে চমকে উঠবেন
দুর্গাপুজো মানেই ১০৮ প্রদীপ এবং ১০৮ পদ্মের প্রয়োজন। বিশেষ করে অষ্টমীর সন্ধি পুজোর সময় ১০৮ পদ্ম একরকম অবশ্য চাই বিষয়। গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূম জেলাতেও পদ্ম চাষ হয় ভালোই। এই দুর্গাপুজোর সময়ই পদ্ম ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে বীরভূমের পদ্ম চাষিদের উৎপাদিত ফুল বাংলার পাশাপাশি ভিন্ন রাজ্য এমনকি বিদেশের দুর্গাপুজোর জন্যও রফতানি হচ্ছে। কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বইয়ের পাশাপাশি আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশেও যাচ্ছে এই পদ্ম।
advertisement
এই প্রসঙ্গে পদ্মফুলের এক রফতানিকারক জানান, এক একটি পদ্মফুল মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কিনে নেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম পুনরায় কোনও এক দোকানে বিক্রি করেন পাঁচ থেকে ছয় টাকার বিনিময়ে। আবার দোকান থেকে ক্রেতারা এক একটি পদ্মফুল কেনেন সাত থেকে দশ টাকা দামে। কখনও অবশ্য ফুল পিছু পনেরো টাকা দাম’ও ওঠে। বাংলার বাইরে গেলে পদ্মের দাম আরও কিছুটা বাড়ে। ভিন রাজ্যে ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ কিংবা ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে জলের পদ্মের দাম আকাশে ওঠে তা বিদেশ পাড়ি দিলে। ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় এই পদ্ম ফুলের দাম। বিদেশে এই পদ্মফুল বিক্রি হয়
দুই থেকে পাঁচ মার্কিন ডলারে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
তবে বিদেশে পদ্মফুল রফতানির গুড় গরিব চাষিরা কিছুই পাচ্ছেন না। অভিযোগ মূলত মধ্যসত্ত্বভোগী অর্থাৎ মজুতদারেরাই যাবতীয় লাভের গুড় খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
সৌভিক রায়