তবে এক অন্য রকমের পুজো দেখা গেল বীরভূমের রামপুরহাটে খরবোনা গ্রামে। কথিত আছে ৫০০ বছর আগে গ্রামের মাতা ভৈরবীর মন্দির থেকে মা দুর্গার মূর্তি এনে পাশের এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর থেকেই প্রাচীন রীতিতে হয়ে আসছে মায়ের আরাধনা। কথিত, গ্রামের মানুষের কাছে আগে এক মুঠো চাল এবং এক মুঠো ডাল চেয়ে মায়ের পুজো করা হত। প্রাচীন সেই রীতি মেনে আজও মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। বৈষ্ণব মতে এখানে পূজিত হয়ে থাকেন মা। পুজোর চারদিন এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নবমীর দিন মা দুর্গাকে খিচুড়ির ভোগ নিবেদন করা হয়। পরবর্তীতে সেই খিচুড়ির ভোগ আবার সাধারণ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সপ্তমী , অষ্টমী তিথিতে লুচি,সুজি মিষ্টি সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
রামপুরহাটের খরবোনা গ্রামে মোট চারটি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। তবে সব থেকে জাগ্রত সাহাপাড়ার মায়ের পুজো দেখতে প্রচুর ভক্তের ভিড় জমে।গ্রামবাসী পবন সাহা বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের এই পুজো হয়ে আসছে প্রায় ৫০০ বছর। পুজোর এক মাস আগে থেকে আমরা গ্রামবাসী বাড়ি বাড়ি যাই। যার যতটা সামর্থ্য, দিয়ে থাকেন৷ কেউ দেন চাল, আবার কেউ দেন ডাল, সবজি, টাকা। পুজোর চার দিন মহাসমারোহে মা দুর্গার আরাধনা করে থাকেন গ্রামবাসীরা। বাইরে থেকে আত্মীয়স্বজনেরা আসেন পুজো দেখতে। মায়ের মূর্তি হয় সাবেকি। গ্রামে আরও চারটি পুজো হলেও কিন্তু এই পুজো নিয়ে গ্রামের মানুষের উন্মাদনা বেশি।