আরও পড়ুন: জেলা বাঁধ মানছে না ডেঙ্গি, এবার গৃহবধূর মৃত্যু
গোপাল মাড্ডির কফিন বন্দি দেহ এদিন নান্দুলিয়ায় নিয়ে আসেন তাঁর সহকর্মীরা। সিকিমে দুর্যোগের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ময়ূরেশ্বর ষাটপলসা পঞ্চায়েতের নান্দুলিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ার গোপাল মাড্ডির। সকাল থেকেই সাঁইথিয়ার তালতলা মোড় থেকে রাস্তার দু’পাশে ছিল মানুষের ভিড়। বাড়ি থেকে তাঁর নিথর দেহ গ্রামের খেলার মাঠে এনে রাখা হয়। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অস্ত্র নামিয়ে বিউগলে শোক মূর্ছনা তুলে শেষ বিদায় জানানো হয়।
advertisement
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে গোপালের ব্যবহৃত সমস্ত জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয় স্ত্রী মাম্পি মাড্ডির হাতে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে স্ত্রীর হাতে ২ লক্ষ টাকা এবং গোপালের মা-বাবার হাতে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন গোপাল। জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে তিনি সেনা বাহিনীর মেডিকেল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তাঁর এক সহকর্মীর অনুপস্থিতিতে কয়েকদিনের জন্য সিকিমের নাথুলা পাসের কাছে হরভজন সিং মন্দিরে ডিউটি করতে যান। মঙ্গলবার সেই ডিউটি ছেড়ে বিন্নাগুড়িতে ফিরছিলেন। তখনই হঠাৎ বাঁধ ভাঙা জলের স্রোতের মুখে পড়েন। তাতেই মৃত্যু হয় ২৮ বছর বয়সী গোপাল মাড্ডির।
গোপালকে একবার শেষদেখা দেখতে উপচে পড়েছিল এলাকাবাসীর ভিড়। সেনাবাহিনীর শকটযানে তাঁর নিথর দেহ নান্দুলিয়া গ্রামের মোড় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই সহকর্মীরা তাঁকে কাঁধে তুলে কফিনবন্দি করে দেহ পৌঁছে দেন বাড়িতে। স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন কালীপুজোয় ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সেই কথা আর রাখতে পারলেন না এই বীর জওয়ান। বীরভূম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁকে।
সৌভিক রায়