গতকালই তদন্তের খাতিরে বগটুই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। আজ লালন-সহ আরও একজনকে আদালতে তোলার কথা ছিল। তার আগে, গতকাল বিকেলেই সিবিআই ক্যাম্পে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআইয়ের দাবি আত্মঘাতী হয়েছেন লালন শেখ। তবে লালনের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিবিআয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করেছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে বিবৃতি দিই না', দিলীপকেই খোঁচা শুভেন্দুর? অস্বস্তিতে বিজেপি
মঙ্হগলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন লালন ঘনিষ্ঠ সহ গ্রামের অন্য বাসিন্দারা। এর মাঝে বেলা ১২টা নাগাদ বগটুই কাণ্ডের অপর এক অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হতেই শুরু হয় গন্ডগোল। এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সিবিআই আধিকারিকেরা গাড়ি নিয়ে ক্যাম্প থেকে বেরনোর চেষ্টা করতেই গার্ডরেল উপড়ে গেট টপকে ক্যাম্প অফিসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ক্যাম্পের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা। রাজ্য পুলিশের প্রহরা তো ছিল, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে ময়দানে নামে সিআরপিএফ। এমনকি, রামপুরহাটের SDPO নিজে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: লালন মৃত্য়ুতে চাপে সিবিআই, শুরু বিভাগীয় তদন্ত! দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব
বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের জেরে ক্য়াম্পের ভিতরেই আটকে পড়েন সিবিআইয়ের ডিআইজি, এবং বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারেরা। পরিস্থিতি সামলাতে ক্যাম্প অফিসের গেট বন্ধ করে দেন সিআরপিএফ জওয়ানেরা। গোটা বিষযটিই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
এ বছরের ২১ মার্চ বগটুই হত্য়াকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্য়তম মূল অভিযুক্ত ছিলেন ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালন। বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই ফেরার ছিল লালন। গত ৩ ডিসেন্বর লালনকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।