জানা যায়, এই চায়ের দোকান শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে ১৫ ই এপ্রিল। ১৫ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট চওড়া আকারে তৈরি হয়েছিল এই চায়ের দোকান। আর এই চায়ের দোকানে এক সময় চা পান করেছেন সুপ্রিয় ঠাকুর, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মৃণাল ঠাকুর, অপর্ণা সেনের বাবা, অমর্ত্য সেন, এর পাশাপাশি আরও বিশিষ্ট বর্গরা। জানা যায় বীরভূম জেলার মধ্যে এটাই প্রথম চায়ের দোকান ছিল একসময়।
advertisement
১৯৬৭ সালে কাচের গ্লাসে এক গ্লাস চা দেওয়া হতো। যার দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু পয়সা, ঘুগনি বিক্রি হতো এক বাটি সেটারও দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু’পয়সা। অন্যদিকে, অনেকেই চায়ের সঙ্গে পাউরুটি খেতেন সেই পাউরুটির দাম ছিল ১ পয়সা। আজ থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বীরভূমের বোলপুরের মধ্যে অবস্থিত অশোক হোটেল ও চায়ের দোকানের নাম ছিল প্রত্যেক মানুষের মুখে মুখে। বহু নামীগুণী ব্যক্তিরা এই চায়ের দোকানে চা পান করে গেছেন। চা পানের সাথে সাথে আড্ডা জমিয়েছেন অনেকেই।
তবে, এবার প্রশ্ন এই চায়ের দোকান আদতে কোথায়, আর কেমন রয়েছে বর্তমানে এই চায়ের দোকানের অবস্থা। মূলত, বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে অবস্থিত আশুতোষ সেনের বাড়ি ঠিক সামনে অবস্থিত রয়েছে এই চায়ের দোকান। তালপাতার ছাউনি দিয়ে তৈরি সেইসময়ের চায়ের দোকান আজ ইট পাথরের তৈরি চায়ের দোকানের রূপান্তরিত হয়েছে।
১৯৬৭ সালে এটি চায়ের দোকান থাকলেও, ১৯৭৯ সালে চায়ের দোকানের পাশাপাশি এর সঙ্গে ছোট্ট করে খাবারের দোকানও তৈরি করা হয়। সেই সময়ে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা এ হোটেলে দুপুরের এবং রাতের খাবার খেয়ে যেতেন। তাই আপনি যদি এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন আসেন তাহলে অবশ্যই আশুতোষ সেনের বাড়ির সামনে এই খাবারের হোটেল একবার অবশ্যই ঘুরে যাবেন। বর্তমানে এই হোটেলের মালিকের কাছে জানতে পারবেন আজ থেকে কয়েক বছর আগে বোলপুরের সেই অজানা গল্প।