TRENDING:

Birbhum News: ৫৮ বছর আগে খুলেছিল...সেই চায়ের দোকান! আজও চলছে রমরমিয়ে...পিছনে কারণ কী চলেন?

Last Updated:

১৯৬৭ সালে কাচের গ্লাসে এক গ্লাস চা দেওয়া হতো। যার দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু পয়সা, ঘুগনি বিক্রি হতো এক বাটি সেটারও দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু’পয়সা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম, সৌভিক রায়: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত বোলপুর শান্তিনিকেতন, আর এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে এমন কোনও পর্যটক নেই যারা হয়ত আসেননি। তবে যদিও বা এসেছেন তারা কেন এসেছেন! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিভিন্ন জায়গা দর্শনের জন্য। তবে, আপনি কী জানেন এই বোলপুরের মধ্যেই অবস্থিত রয়েছে এমন একটি চায়ের দোকান যে চায়ের দোকান এই বোলপুর তো বটেই এর পাশাপাশি গোটা বীরভূম জেলার মধ্যে প্রথম চায়ের দোকান!
advertisement

জানা যায়, এই চায়ের দোকান শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে ১৫ ই এপ্রিল। ১৫ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট চওড়া আকারে তৈরি হয়েছিল এই চায়ের দোকান। আর এই চায়ের দোকানে এক সময় চা পান করেছেন সুপ্রিয় ঠাকুর, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মৃণাল ঠাকুর, অপর্ণা সেনের বাবা, অমর্ত্য সেন, এর পাশাপাশি আরও বিশিষ্ট বর্গরা। জানা যায় বীরভূম জেলার মধ্যে এটাই প্রথম চায়ের দোকান ছিল একসময়।

advertisement

আরও পড়ুন: প্রকৃতির কোন খেলায়…স্বাদ-গন্ধ বদলে যাচ্ছে দার্জিলিঙের চায়ের! ‘অ্যালার্মিং’ কথা বললেন বিশেষজ্ঞেরা

১৯৬৭ সালে কাচের গ্লাসে এক গ্লাস চা দেওয়া হতো। যার দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু পয়সা, ঘুগনি বিক্রি হতো এক বাটি সেটারও দাম ছিল সেই সময় মাত্র দু’পয়সা। অন্যদিকে, অনেকেই চায়ের সঙ্গে পাউরুটি খেতেন সেই পাউরুটির দাম ছিল ১ পয়সা। আজ থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বীরভূমের বোলপুরের মধ্যে অবস্থিত অশোক হোটেল ও চায়ের দোকানের নাম ছিল প্রত্যেক মানুষের মুখে মুখে। বহু নামীগুণী ব্যক্তিরা এই চায়ের দোকানে চা পান করে গেছেন। চা পানের সাথে সাথে আড্ডা জমিয়েছেন অনেকেই।

advertisement

তবে, এবার প্রশ্ন এই চায়ের দোকান আদতে কোথায়, আর কেমন রয়েছে বর্তমানে এই চায়ের দোকানের অবস্থা। মূলত, বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে অবস্থিত আশুতোষ সেনের বাড়ি ঠিক সামনে অবস্থিত রয়েছে এই চায়ের দোকান। তালপাতার ছাউনি দিয়ে তৈরি সেইসময়ের চায়ের দোকান আজ ইট পাথরের তৈরি চায়ের দোকানের রূপান্তরিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার টার্গেট অভিষেকের গড়! ‘SIR হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সব,’ স্বাধীনতা দিবসে বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

১৯৬৭ সালে এটি চায়ের দোকান থাকলেও, ১৯৭৯ সালে চায়ের দোকানের পাশাপাশি এর সঙ্গে ছোট্ট করে খাবারের দোকানও তৈরি করা হয়। সেই সময়ে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা এ হোটেলে দুপুরের এবং রাতের খাবার খেয়ে যেতেন। তাই আপনি যদি এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন আসেন তাহলে অবশ্যই আশুতোষ সেনের বাড়ির সামনে এই খাবারের হোটেল একবার অবশ্যই ঘুরে যাবেন। বর্তমানে এই হোটেলের মালিকের কাছে জানতে পারবেন আজ থেকে কয়েক বছর আগে বোলপুরের সেই অজানা গল্প।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বীরভূম/
Birbhum News: ৫৮ বছর আগে খুলেছিল...সেই চায়ের দোকান! আজও চলছে রমরমিয়ে...পিছনে কারণ কী চলেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল