সৌভাগ্যবশত যাত্রী না থাকায় চালক ছাড়া কেউ আহত হননি। কিন্তু ভাগ্যের খেলায় মাত্র কয়েক মিনিটের জন্যে রক্ষা পেল শতাধিক মানুষের প্রাণ। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছিল বললে ভুল হবে না। লুপ লাইনে দাড়িয়ে থাকা মাল গাড়ির পিছনে আঘাত করে চলন্ত মালগাড়ি।
advertisement
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় যেরকম সামনের বগি উপর দিকে উঠে গিয়েছিল সেরকমই মালগাড়ির বগি উঠে পড়ে অপর একটি মালগাড়ির উপর। একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটে ভোর চারটের সময়।
৩:৫০ নাগাদ বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রাম পার করার কথা চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের। মন্দা গ্রামে স্টপেজ না থাকায় গতির সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার কথা চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় হামসফর এক্সপ্রেস যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ঠিক একই পরিণতি হতে পারত চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের। গাড়িটি লেট করায় এবং রেলে তৎপরতায় তড়িঘড়ি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয় চক্রধরপুর এক্সপ্রেসকে। পরে লাইন ক্লিয়ার হলে নটা নাগাদ বাঁকুড়া স্টেশন ঢোকে একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া চক্রধরপুর এক্সপ্রেস।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়