আরও পড়ুনঃ নির্বাচনে জেতার পর একজন এমপি কী কী সুযোগ-সুবিধা পান, বেতনই বা কত? জানুন
নির্বাচনী প্রচারে সুজাতা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সেই ছবিই প্রতিফলিত হল গণনার দিন। ১৯ রাউন্ড গণনার পর দেখা যায় মোটামুটি ৫০০০ ভোটে এগিয়ে সৌমিত্র খাঁ। তবে, অবশেষে বেশ কিছু ই ভি এম এ পুর্নগণনা করা হয়। তারপরও বিজয়ী হন বিজেপি প্রার্থী এবং দুই বারের সাংসদ সৌমিত্র। স্বপ্নের হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। কিছুটা বিধ্বস্ত দেখাল সুজাতাকে। তিনি বলেন “এটা জনগণের রায় নয়।”
advertisement
এবার চোখ রাখা যাক বাঁকুড়া লোকসভায়। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ছিলেন বিজেপি প্রার্থী এবং বিদায় সংসদ ডঃ সুভাষ সরকার এবং তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই ট্রেন্ড বলছিল অরূপ চক্রবর্তী জিতছে। তবে ব্যবধানটা খুব একটা বেশি ছিল না। গণনার পুরো পর্যায় পর্যন্ত সেই ট্রেন্ড ধরে রাখতে সক্ষম হন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এবং প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে সুভাষ সরকারকে ৩২০৭১ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। ঠিক এভাবেই বাঁকুড়ায় পদ্মফুল সরিয়ে ফুটল জোড়াফুল।
নাটকীয় গণনা। নাটকীয় ভোট। বাঁকুড়ার ২ লোকসভা কেন্দ্রে চোখ ছিল সকলের। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলে ভোট উৎসব। অবশেষে মানুষের রায় স্পষ্ট করে দিয়েছে এই দুই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে কারা যাচ্ছেন দিল্লি। আগামী পাঁচ বছর বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ ভরসা রেখেছেন অরূপ চক্রবর্তী এবং সৌমিত্র খাঁ’র উপরে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী