স্বামীর মৃত্যুর পর ভাবনা চিন্তা বদলে যায় এই বধূর। ঠিক করেন যে লেখাপড়া না জানার জন্য তাঁকে এত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে সেই লেখাপড়া শিখেই প্রমাণ করে দেবেন। এরপর বাঁকুড়ার ওন্দার ওন্দা যুব সমাজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিনামূল্যের কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা শুরু করেন লক্ষী। অক্ষরজ্ঞানের পর ইংরেজি শেখাও শুরু করেন। ওখানে কম্পিউটার শেখায় হাতে খড়ি তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে তিল চাষের ক্ষতি
কম্পিউটারে ছবি আঁকা শেখেন লক্ষী মাল। ওন্দা যুব সমাজের এই কোচিং সেন্টারে মূলত পড়াশোনা করে সেইসব প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীরা, যারা গৃহশিক্ষকের খরচ বহন করতে পারে না। সেখানে লক্ষী একজন অনুপ্রেরণা। এই বধূ প্রতিদিন সকলের আগে কোচিং সেন্টারে গিয়ে বসে থাকেন। এমনকি এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকাটা কেউ কোনদিন না আসলে তাকে বাড়িতে কে ডেকে নিয়ে এসে পড়াশোনা করেন লক্ষ্মী। একজন নিরক্ষর বধূর এই স্বাক্ষর হয়ে ওঠার লড়াই অনেকের অনুপ্রেরণা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি