সাঁওতালিতে বাহা কথার অর্থ হল ফুল। এই বাহা পরব বা ফুল উৎসব পালন না করা পর্যন্ত শীতের শেষে নতুন ওঠা ফুল সাঁওতাল মেয়েরা মাথায় দেয় না। শুশুনিয়া পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকে পাহাড়ের পাদদেশে প্রতিবছর পালিত হয় বাহা পরব। এই উৎসবে শাল ফুলের আগুনরাঙা রঙে মেতে ওঠে গোতা সাঁওতাল পরগনা। এই উৎসব বাধা উৎসব নামেও পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকে খিচুড়ি ভোগ। থেকে থেকেই শোনা যায় মাদলের বোল। আর সেই তালে নেচে ওঠে সাঁওতালি কন্যারা। শুশুনিয়া পাহাড়ের কাছে অবস্থিত পবিত্র জাহের থান। সেখানে 'জাহের গগোর' উদ্দেশ্যে পালিত হয় বাহা পরব।
বাহা পরব উপলক্ষে সাঁওতালরা তাদের সব দেবতার থান গোবর দিয়ে সুন্দর করে নিকোয়। যা অনেকটা আমাদের বাড়িতে ন্যাতা দেওয়ার মত। যদিও পার্থক্য আছে অনেকটাই। এই সময় সাঁওতাল পুরুষরা দল বেঁধে শিকারে বের হন। উৎসবের শেষে নাচগান হয়। মেয়েরা নতুন ফুলে নিজেদেরকে সজ্জিত করেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি