দুটি ছোট ছোট ঘর। দেখে মনে হবে কোনক্রমে ব্যালান্স করে দাঁড়িয়ে আছে। ধুলো পড়া তবলার খোল আর চামড়াগুলো বলে দিচ্ছে বর্তমানে এর পরিস্থিতি। বিষ্ণুপুরের কাঁকিলা থেকে এসেছিলেন বিশ্বনাথ রুইদাসের দাদু। দীর্ঘ ১০০ বছরের পারিবারিক ব্যাবসা প্রসার পায় বাঁকুড়া শহরেও। কিন্তু করোনা এসে এই ব্যবসার সব বোল নষ্ট করে দিয়েছে। তার উপর বিষফোঁড়ার মত আছে স্মার্টফোন। বর্তমান প্রজন্মের একটা অংশ যখন মিউজিক শেখার বদলে স্মার্টফোনে ডুবে আছে, তখন বাকিরা স্মার্টফোনেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তবলার বোল খুঁজে নিচ্ছে। ফলে নতুন তবলার কোনও চাহিদা নেই, কেউ সারাতেও আসে না। ফলে দোকান খুলে সারাদিন বসে থাকলে রোজগার বলতে প্রায় কিছুই হয় না।
advertisement
আরও পড়ুন: মাটির কথায় সোলার পাম্প পেয়ে খুশি কৃষকরা
এই পরিস্থিতিতে দুই ভাই ঠিক করেছেন তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই শতাব্দী প্রাচীন পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাউকেই তাঁরা তবলা তৈরি ব্যবসায় নিয়ে এসে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ফেলতে চান না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি