তারপর আবার আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হবে। ওই দিনের পর থেকে ক্রমশ দীর্ঘ হবে দিনের পরিমাণ, ছোট হবে রাত। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার ড. হরি সিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাকেশ সাইনি জানান, ২১ মার্চ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে বিষুব রেখার ঠিক উপরে থাকে সূর্য। সেই কারণেই উভয় গোলার্ধে দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়ে যায়।
advertisement
তিনি আরও ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, পৃথিবী তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে চলেছে প্রতিনিয়ত। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, দিনের দৈর্ঘ্য কম হতে থাকে। প্রতিদিন প্রায় ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড হারে কমতে থাকে দিনের পরিমাণ। একই সঙ্গে ক্রমশ বাড়তে থাকে রাতের দৈর্ঘ্য। সেই সময়ই শীতকালের প্রভাব শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বিরাট খবর! বহু সরকারি কর্মী-অফিসারের ছুটি বাতিল! বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, দিন ও রাতের সৃষ্টি হয় পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে। আহ্নিক ও বার্ষিক গতির প্রভাবে দিন রাতের পাশাপাশি ঋতু পরিবর্তন হয় এবং দিন রাতের দৈর্ঘ্যও কমে বাড়ে। ৩৬৫ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী। কিন্তু পৃথিবীর কক্ষপথ গোল নয়। বরং উপবৃত্তাকার, অনেকট ডিম্বাকৃতি। সূর্য তার কেন্দ্রে নয়, বরং এক ধারে রয়েছে। তাই এক সময় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কমে, এক সময় বাড়ে। জুন মাসে পৃথিবী থেকে সূর্য দূরত্ব সব থেকে বেশি হয়।
আরও পড়ুন: এই এক গ্লাস জুস কমাতে পারে আপনার আর্থারাইটিসের মরণ-ব্যথা! অবশ্যই জানুন
২২ ডিসেম্বর এবং ২১ জুনের গুরুত্ব—
২২ ডিসেম্বর এবং ২১ জুন তারিখগুলি জ্যোতির্বিদ্যায়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২১ জুন, পৃথিবী থেকে সূর্যের অবস্থান সর্বাধিক হয়। ২২ ডিসেম্বর সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বনিম্ন হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যা—
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষী পন্ডিত শিবম মহারাজের মতে, ঋতু পরিবর্তনে সূর্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য সকল গ্রহের রাজা। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশ করে। এসময় চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। এটি শীতের আগমন সূচিত করে।
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করছে ভাদ্র মাস অধিক মাস হওয়ায় সূর্যের গতি পিছিয়ে গেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশ করেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল ভাদ্র মাসের শুক্ল নবমী তিথি। এই দিনে চাঁদ ধনু রাশিতে গমন করছে।