গ্রহণ শুরুর ১২ ঘণ্টা আগের সময়কে বলা হয় এর সূতককাল। হিন্দু ধর্মমতে, এই সময়ে বিধি-বিধান পূর্বক দেবতার আরাধনা করা যায় না। তবে ভক্ত চাইলে মনে মনে ইষ্টদেবতার মন্ত্র জপ করতেই পারেন, তাতে বাধা নেই। বন্ধ থাকবে শুধু বাহ্যিক উপাচার এবং আয়োজন, কেন না বাহ্যিক জগৎ এই সময়ে পরিপূর্ণ হয় অশুদ্ধিতে। শুভের প্রভাব কমে আসে, অশুভ হয়ে ওঠে শক্তিশালী।
advertisement
ঠিক এই কারণেই ভারতের যে কোনও মন্দিরের দ্বারও নিয়ম মেনে গ্রহণের সময়ে বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ রাখা হয় পূজাপাঠের আয়োজন। গ্রহণ কেটে গেলে সারা মন্দির ধুয়ে-মুছে শুদ্ধ করা হয়। একমাত্র তার পরেই আবার খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার, ভক্তেরা আবার আগের মতো তাঁদের আরাধ্যের দর্শন এবং পূজাদানের অধিকার ফিরে পান। দেশের অন্যতম প্রধান মন্দিরে এযাবৎ এই রীতির অন্যথা হতে দেখা যায়নি। তবে যা ইতিপূর্বে কখনও হয়নি, তা-ই এবার হতে চলেছে। তাও দেশের অন্যতম শিবক্ষেত্র, সাক্ষাৎ জ্যোতির্লিঙ্গের আশ্রয়স্থান দেওঘরের বৈদ্যনাথধাম মন্দিরে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে- গ্রহণে পূজাবন্ধের রীতি কেন ভাঙতে চলেছেন পুরোহিতরা?
প্রশ্নের উত্তরও সোজাসাপটা মিলেছে তীর্থপুরোহিত অনিল দাওয়ারির মুখ থেকে। নিউজ১৮-এর কাছে তিনি সেই রহস্যের উদঘাটন করেছেন। তীর্থপুরোহিত জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে বছরের যে প্রথম সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তা ভারত থেকে দৃশ্যমান নয় এবং আমাদের এই দেশে এই গ্রহণের কোনও প্রভাব পড়বে না। সেই কারণেই বৈদন্যনাথধামে নিত্যপূজার্চনা চলবে, ভক্তের আগমনের জন্য অবারিত থাকবে মন্দিরের দ্বার, সন্ধ্যাকালীন শৃঙ্গারপূজাও চলবে যথোচিত নিয়ম মেনে প্রতিদিনের মতোই।