জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে প্রতিটি মানুষের জীবনে একবার শনির দশার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শনির সাড়ে সাতি, ঢাইয়া, মহাদশার প্রভাব আলাদা আলাদা রকম ভাবে হয়। পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনস্যাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, শনির ক্রোধের কারণে জীবনে অনেক ঝামেলা হয়। এটি অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। বর্তমানে শনি মিথুন ও তুলা রাশিতে সাড়ে সাতিতে অবস্থান করছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শনি গতিপথ পরিবর্তন করছে।
advertisement
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, শনিদেব চলতি মাসের ১৭ জানুয়ারি মকর রাশি থেকে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবেন। প্রায় আড়াই বছর পরে কুম্ভ রাশিতে শনি প্রবেশ করবে। এই অবস্থান পরিবর্তনের সময়ে কর্কট এবং বৃশ্চিক রাশির চিহ্নগুলির উপরে শনির দৃষ্টি থাকবে। ফলে এই রাশির জাতক এবং জাতিকাদের জীবন প্রভাবিত হতে পারে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, কুম্ভ রাশিতে শনির দ্বিতীয় পর্বের সাড়ে সাতি শুরু হবে। একই সঙ্গে মকর রাশিতে শনির সাড়ে সাতির তৃতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। এছাড়া মীন রাশিতেও শনির মহাদশা শুরু হবে।
জ্যোতিষ মতে, শনির ক্রোধের কারণে একজন ব্যক্তিকে জীবনে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাঁর জীবনে প্রতিনিয়ত বাধা আসে। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির ক্রোধ প্রশমিত করার অনেক উপায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, মাধ্য়মিক দিতে গিয়ে ছাত্রদের বেয়াদপি বরদাস্ত নয়, স্কুলকেই শাস্তি দেবে পর্ষদ
আরও পড়ুন, কাকে বলে শৈত্যপ্রবাহ, কলকাতার হাড়হিম করা ঠান্ডায় কবে রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানুন পূর্বাভাস
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করলে শনির দশা থেকে মুক্তি মেলে। শনিবার সন্ধ্যায় পিপল গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের পুজো করা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শনিবারও হনুমান জির পুজো করলে উপকার মেলে। এর ফলে শনিদেব শান্ত থাকবেন এবং জীবনে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদন জ্যোতিষের থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে লেখা। নিউজ ১৮ বাংলা কখনই এই তথ্য মানতে অনুরোধ বা বাধ্য করে না।