তবে হিন্দু ধর্মে রক্ষাবন্ধনের অনন্য গুরুত্ব রয়েছে। রাখি বন্ধনের দিন সমস্ত বোন তাঁর ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ভাইয়েরা তাঁদের বোনকে উপহার দেন, সেই সঙ্গে দেন তাঁদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতি হবেন বক্রী, একাধিক রাশির জীবনে সুসময়ের তুফান, হবেন মালামাল
প্রতি বছর হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এই বছর দুই দিন ধরে পালিত হবে রাখি বন্ধন উৎসব। কারণ আগামী ৩০ অগাস্ট রাত ১০টা ৫৯ মিনিট থেকে ৩১ অগাস্ট সকাল ৭টা ০৬ মিনিট পর্যন্ত পালিত হবে উৎসব।
advertisement
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রক্ষা বন্ধন। আগামী ৩০ অগাস্ট ২০২৩ তারিখ, বুধবার রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে শুরু হচ্ছে রাখি এবং পরদিন ৩১ অগাস্ট ২০২৩ তারিখ, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ০৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে রাখি বন্ধনের আদর্শ সময়। ভিষ্টিকরণ সময়কে রাখি বাঁধার আদর্শ সময় বলে মনে করা হয় না।
রাখি বন্ধন নিয়ে অনেক লোককাহিনী প্রচলিত রয়েছে এই দেশে। ভাসিব পুরাণ অনুসারে, অসুর রাজা বলী একবার স্বর্গের দেবতাদের আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময় দেবরাজ ইন্দ্রের স্ত্রী শচী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। সাহায্য প্রার্থনা করতে রানি শচী ভগবান বিষ্ণুর কাছে ছুটে যান। ভগবান বিষ্ণু শচী দেবীকে একটি সুতো দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই সুতো যেন দেবী তাঁর স্বামী ইন্দ্রের কব্জিতে বেঁধে দেন। আসলে এই সুতোই ছিল রক্ষা কবচ।
পুরাণ বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, শচী দেবী কব্জিতে সুতো বেঁধে দেওয়ার পরই দেবরাজ ইন্দ্র যুদ্ধে জয়ী হন। আর তাঁর এই জয়ের পর থেকেই রাখি বন্ধন উৎসব পালনের প্রথা শুরু হয়।